ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

রংপুরে তাণ্ডব

ফজলারের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান

নজরুল মৃধা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:১০, ১৯ জানুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ফজলারের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর : ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম অবমাননাকর পোস্ট দেওয়ার প্রতিবাদ এবং হিন্দুদের বাড়ি-ঘরে হামলার জন্য লোকজন জড়ো করতে মাইক সরবরাহ করেছিলেন রংপুরের ঠাকুরপাড়ায় তাণ্ডবের ঘটনার আসামি প্রকৌশলী ফজলার রহমান।

আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে ঘটনার সঙ্গে নিজের সরাসরি সংম্পৃক্ততার কথা এভাবেই স্বীকার করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার রাতে রংপুরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তারিক হাসানের আদালতে তিনি  জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলার তদন্ত পুলিশ কর্মকর্তা গঙ্গাচড়া থানার এসআই ফেরদৌস স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত বছরের অক্টোবর মাসে রংপুরের সদর উপজেলার ঠাকুরপাড়া গ্রামের খগেন রায়ের ছেলে টিটু রায়ের বিরুদ্ধে ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম অবমাননাকর একটি ছবি পোস্ট দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।

এরপর ১০ নভেম্বর কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হয়ে টিটু রায়ের শাস্তি দাবি এবং ওই গ্রামের হিন্দুবাড়িতে হামলা চালিয়ে কয়েকটি বাড়িঘরে আগুন দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এক ব্যক্তি মারা যায়।

জবানবন্দিতে ফজলার রহমান বলেন, তার নিজের ইটের ভাটার জন্য ইট ক্যারিং করার ট্রাক্টর দিয়ে মোমিনপুর থেকে শত শত লোকজন ঠাকুরপাড়া গ্রামের কাছাকাছি জড়ো করেন। সেখান থেকে পরিকল্পিতভাবে ঠাকুরপাড়ায় হামলা চালানো হয়। হিন্দু পাড়ার বাড়ি-ঘরে আগুন দেওয়া, মালামাল লুট করানোর কথাও তিনি স্বীকার করেছেন।

ফজলার রহমান রংপুর জেলা পরিষদের উপ- সহকারী প্রকৌশলী। সদর উপজেলার মোমিনপুরে তার বাড়ি। এই তাণ্ডবের ঘটনার আগে তিনি কাদের নিয়ে সভা করে আলোচনা করেছেন তাদের নামও বলেছেন ফজলার রহমান।

হিন্দুদের বাড়ি-ঘরে আগুন দেওয়া, মালামাল লুটসহ তাণ্ডবের ঘটনার আসামি প্রকৌশলী ফজলার রহমান। তাকে গ্রেপ্তার করে প্রথম দফায় দুই মামলায় ১২ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরেও কোনো তথ্য দেননি তিনি। পরে তাকে আবার রিমান্ডে আনা হয়। অবশেষে আদালতে জবানবন্দি দিলেন তিনি। জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

জবানবন্দিতে ফজলার রহমান জানিয়েছেন, ধর্মীয় অবমাননা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার পর তারা কয়েকজন মিলে এর বিহিত করার জন্য পরিকল্পনা করেন। তারা সিদ্ধান্ত নেয় ঠাকুরপাড়ায় হামলা করার।

তাণ্ডবের ঘটনায় গঙ্গাচড়া থানার এসআই রেজাউল করিম ও কোতোয়ালি থানায় এসআই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে দুটি মামলা করেন। 




রাইজিংবিডি/রংপুর/১৯ জানুয়ারি ২০১৮/নজরুল মৃধা/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়