রাজিন হত্যার দায় স্বীকার করে চারজনের জবানবন্দি
মুহাম্মদ নূরুজ্জামান || রাইজিংবিডি.কম
রাজিন হত্যা মামলার আসামি সাব্বির ও হত্যকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি
নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা : খুলনায় স্কুলছাত্র ফাহমিদ তানভীর রাজিন হত্যা মামলায় মূল অভিযুক্ত মো. মঞ্জুরুল ইসলাম সাব্বির হাওলাদারসহ চার আসামি দায় স্বীকার করেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা মহানগর হাকিম মো. শাহীদুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় সাব্বির হাওলাদার।
এর আগে সোমবার বিকেলে একই আদালতে অপর তিন আসামি তারিন হাসান ওরফে রিজভী (১৩) , আসিফ প্রান্ত আলিফ (১৬) ও মো. সানি ইসলাম ওরফে আপন (১৩) স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
পুলিশ এ মামলায় সাতজনকে গ্রেপ্তর করতে পারলেও ১ নম্বর আসামি ফাহিম ইসলাম মনিকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খালিশপুর থানার এসআই মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জবানবন্দিতে তারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
তিনি আরো বলেন, রাজিনের বুকে ছুরি ঢুকিয়ে দেয় সাব্বির হাওলাদার। অন্যরা রাজিনকে কিল-ঘুষি মারে। ছুরির আঘাত গুরুতর হওয়ায় প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণেই রাজিনের মৃত্যু হয়।
এদিকে, আসামি সাব্বির হাওলাদার (১৭) বি এম মাজিব হাসান রয়েল (১৪) ও সাক্রান সালেহ মিতুলকে (১৪) জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে পাঠায় পুলিশ। তবে সাব্বির স্বীকারোক্তি দিলেও রয়েল ও মিতুল দেয়নি। আদালতের নির্দেশে তাদের যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
মঞ্জুরুল ইসলাম সাব্বির হাওলাদার নগরীর ছোট বয়রা শ্মশানঘাট এলাকার জাকির হাওলাদারের ছেলে। বি এম মাজিব হাসান রয়েল নগরীর বয়রা সবুরের মোড় সেন্ট্রাল রোড এলাকার বি এম লিয়াকত আলীর ছেলে। সাক্রান সালেহ মিতুল ছোট বয়রা ইসলামিয়া কলেজ রোড এলাকার ৭ নম্বর আনিস নগরের এস এম আব্দুল মজিদের ছেলে। র্যাব রয়েল ও মিতুলকে এবং পুলিশ বাকিদের গ্রেপ্তার করে।
সাব্বিরের স্বীকারোক্তি মোতাবেক সোমবার বিকেলে তার বাসা থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, শনিবার রাত সোয়া ৯টায় খুলনা পাবলিক কলেজ ক্যাম্পাসে কনসার্ট চলাকালে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় ফাহমিদ তানভীর রাজিনকে। সে খুলনা পাবলিক কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
এ ঘটনায় রাজিনের বাবা শেখ জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে রোববার খালিশপুর থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৮-১০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
এ মামলায় পুলিশ নগরীর মুজগুন্নি আবাসিক এলাকার বাসিন্দা আলমগীর হোসেনের ছেলে আসিফ প্রান্ত আলিফ (১৬), নগরীর বড় বয়রা আফজালের মোড় এলাকার জাকির হোসেন খানের ছেলে মো. জিসান খান ওরফে জিসান পারভেজ (১৬), বড় বয়রা এলাকার মো. আহাদ হোসেনের ছেলে তারিন হাসান ওরফে রিজভী (১৩), রায়েরমহল মুন্সী বাড়ির ভাড়াটিয়া সাইদ ইসলামের ছেলে মো. সানি ইসলাম ওরফে আপন (১৩), বড় বয়রা সবুরের মোড় এলাকার লিয়াকত হোসেনের ছেলে রয়েলকে (১৪) আটক করে।
রাইজিংবিডি/খুলনা/২৩ জানুয়ারি ২০১৮/মুহাম্মদ নূরুজ্জামান/রফিক
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন