ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ৯ খাতে চাঁদা-ঘুষ দিতে হয়

রেজাউল করিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:০৮, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ৯ খাতে চাঁদা-ঘুষ দিতে হয়

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সিভিল এভিয়েশন, কাস্টমস এবং আনসার সদস্যদের ৯টি খাতে চাঁদা বা ঘুষ দিতে হয় বলে তথ্য প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

এছাড়া বিমানবন্দরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার-এপিবিএন এবং ইমিগ্রেশন পুলিশ নানাভাবে যাত্রীদের হয়রানি করে বলেও সংস্থাটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

টিআইবির উদ্যোগে গঠিত সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) গবেষণা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে ‘যাত্রীসেবা কার্যক্রমে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক সভায় এই প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন টিআইবির ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার জাফর সাদেক চৌধুরী।

টিআইবির চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি অ্যাডভোকেট আখতার কবির চৌধুরী অনুষ্ঠানে জানান, বিমানবন্দরে সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে আছে সিভিল এভিয়েশন, ইমিগ্রেশন, আনসার-এপিবিএন ও বিভিন্ন এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ এবং কাস্টমস। এদের মধ্যে সিভিল এভিয়েশন এবং কাস্টমস সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি করে। যারা নিরাপত্তা প্রহরী আছে তারা নানাভাবে যাত্রীদের টাকা-পয়সার জন্য হয়রানি করে।

বিমানবন্দরে ৯ খাতে অনিয়ম-দুর্নীতি ও হয়রানির তথ্য উপস্থাপন করে বলা হয়, বিমানবন্দরে প্রবেশের সময় আনসার সদস্যদের মাধ্যমে হয়রানির শিকার হন যাত্রীরা। প্রায়ই মালামাল লুকিয়ে রেখে আনসার সদস্যরা ৫০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত বকশিশ আদায় করে যাত্রীদের কাছ থেকে। একইভাবে বিমানবন্দর ত্যাগের সময়ও যাত্রীদের কাছ থেকে আনসার সদস্যরা বকশিশ আদায় করে।

গবেষণা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যাত্রীরা বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তা কর্মীরা লাগেজ নিয়ে টানাটানি করে। অটোরিকশা ঠিক করে দেওয়া কিংবা মালামাল একটু এগিয়ে দেওয়ার নামে ১০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত বকশিশ আদায় করে। কাঁচি ও আয়রন জাতীয় ধাতব বস্তু এবং শুঁটকি, ফলমূল, রান্না করা খাবার, কাঁঠালের মতো পচনশীল বস্তু পরিবহনের উপযুক্ত না হলেও ২০০ থেকে ৫০০ টাকার বিনিময়ে সেগুলো পরিবহনের সুযোগ দেয় সিভিল এভিয়েশনের নিরাপত্তা বিভাগের কর্মীরা।

ইমিগ্রেশন বিভাগের টাকা আদায়ের চিত্র তুলে ধরে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বহির্গমন কার্ড পূরণের জন্য যাত্রী বিশেষত প্রবাসী শ্রমিকদের কাছ থেকে ৫০ থেকে ১০০ টাকা নেন সিভিল এভিয়েশন, ইমিগ্রেশন বিভাগ ও এয়ারলাইনন্সের কর্মকর্তারা।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সনাক’র সহ-সভাপতি ও নগর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী সুভাষ চন্দ্র বড়ুয়া, টিআইবির সাধারণ পরিষদ সদস্য প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার, প্রোগ্রাম ম্যানেজার জুলিয়েট রোজেটি, চট্টগ্রাম মহানগরের এরিয়া ম্যানেজার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ।



রাইজিংবিডি/চট্টগ্রাম/১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/রেজাউল করিম/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়