ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ফজলুর রহমানের সময় কাটে ভাষা আন্দোলনের গল্প শুনিয়ে

বাদল সাহা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৪৭, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ফজলুর রহমানের সময় কাটে ভাষা আন্দোলনের গল্প শুনিয়ে

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : ১৯৫২ সাল। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে উত্তপ্ত ঢাকার রাজপথ। একই সময় গোপালগঞ্জেও বেশ কয়েকজন ছাত্র আন্দোলন গড়ে তোলেন। তাদের মধ্যে অন্যতম এ এম ফজলুর রহমান।

ফজলুর রহমান তখন ৭ম শ্রেণীর ছাত্র। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার দাবিতে আন্দো্লন করার অপরাধে কিশোর বয়সে কারাভোগ করতে হয় তাকে। জীবনের শেষ মুহূর্তে এসে বাংলাভাষা সর্বত্র চালুর দাবি জানিয়েছেন তিনি।

এ এম ফজলুর রহমান স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ছাত্র-ছাত্রী উপর গুলিবর্ষণের খবর গোপালগঞ্জে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে ছাত্র-জনতা রাস্তায় নেমে আসে। এ ঘটনার প্রতিবাদে স্কুল-কলেজে ধর্মঘটসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সব আন্দোলনের সম্মুখভাগে থাকতেন এ এম ফজলুর রহমান।

১৯৫৪ সালে শহরের ব্যাংকপাড়াস্থ বঙ্গবন্ধুর বাড়ির ঐতিহাসিক আম বাগানে বাঁশ ও কাগজ দিয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়। এই অপরাধে ২০ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ এসে ফজলুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে ফরিদপুর সেন্ট্রাল জেলে নিয়ে যায়। তিন মাস কারাভোগের পর মুক্তি পান তিনি। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর একই দাবিতে সভা-সমাবেশ ও আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন তিনি।

লেখাপড়া শেষ করে ১৯৬৩ সালে সরকারি বঙ্গবন্ধু (তৎকালীন কায়েদ-ই-আযম মেমোরিয়াম) কলেজে হিসাবরক্ষক হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন ফজলুর রহমান। ১৯৯২ সালে প্রধান হিসাবরক্ষক হিসেবে অবসরে যান।

বর্তমানে তিনি ছেলেদের সঙ্গে শহরের পাওয়ার হাউজ রোডের বাসায় বসবাস করেন। বয়স এখন ৮৩। অনেকটাই সুস্থ আছেন। পাওয়ার হাউজ মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় আর বাকি সময় নাতি-নাতনিদের ও প্রতিবেশীদের ভাষা আন্দোলনের গল্প শুনিয়ে সময় কাটান।

জীবনের শেষ মুহূর্তে এই ভাষা সৈনিকের কিছু চাওয়া-পাওয়া নেই। তার পরিবারের সদস্যরা ভাষা সৈনিকের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছেন।



রাইজিংবিডি/গোপালগঞ্জ/১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/বাদল সাহা/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়