ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

বরিশাল-৩ আসনে প্রধান দুই জোটেই মনোনয়ন লড়াই

জে.খান স্বপন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:২৫, ১৮ মার্চ ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বরিশাল-৩ আসনে প্রধান দুই জোটেই মনোনয়ন লড়াই

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল : বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনেও ছড়িয়ে পড়েছে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের উত্তাপ। সম্ভাব্য প্রার্থীরা পুরোদমেই এলাকায় যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছেন।

অন্যদিকে মনোনয়ন দৌড়ের প্রতিযোগীতায় নেমেছেন বড় রাজনৈতিক দলগুলোর একাধিক মুখ। বাবুগঞ্জ ও মুলাদী গুরুত্বপূর্ণ এই দুই উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনে দুই উপজেলা থেকেই একাধিক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতার লড়াইয়ে নামতে প্রস্তুত। মনে করা হচ্ছে, এবারও এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে জোটে জোটে।

এই আসনে আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকায় রয়েছেন- জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য সাবেক অতিরিক্ত সচিব সিরাজউদ্দিন আহমেদ, জনতা ও অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক পরিচালক কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, মুলাদী উপজেলা চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম মিঠু ও কাজী এমদাদুল হক দুলাল।

অন্যদিকে বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকায় রয়েছেন- বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, অপর ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক প্রতিমন্ত্রী বেগম সেলিমা রহমান ও সাবেক এমপি মোশাররফ হোসেন মঙ্গু।

এ আসনে ইসলামী আন্দোলনের উপাধ্যক্ষ মাওলানা মো. সিরাজুল ইসলামও মনোনয়ন পেতে পারেন।

জোটভুক্ত নির্বাচন হলে এ আসনে মহাজোট থেকে মনোনয়ন চাইবেন বর্তমান এমপি জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক শেখ টিপু সুলতান ও যুব মৈত্রী’র কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মো. আতিকুর রহমান। তবে ওয়ার্কাস পাটি থেকে বর্তমান সমাজকল্যান মন্ত্রী রাশেদ খান মেননকে চেয়েও একটি গ্রুপ মাঠে সরব হয়েছে।

এদিকে এ আসনে নিজেদের প্রার্থী দিতে মরিয়া জাতীয় পার্টি (এ)। এই দল থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক এমপি গোলাম কিবরিয়া টিপু, জাতীয় যুব সংহতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শাহাজাদা মুন্সী ও মুলাদী উপজেলার জাতীয় পার্টির (এ) সভাপতি আব্দুল্লাহ হারুন।

সূত্র মতে, বিগত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে হাতেগোনা যে ক’টি আসনে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয় তার একটি বরিশাল-৩। মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপুকে হারিয়ে ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির শেখ টিপু সুলতান। তবে এই আসনটি বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। বিএনপির প্রার্থী মোশাররফ হোসেন মঙ্গু পরপর ৩ বার সাংসদ নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে সীমানা পূর্নগঠন আর কেন্দ্রীয় দুই নেতার চাপে মনোনয়ন বঞ্চিত হন মঙ্গু। দলের ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান এবং অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন মনোনয়ন নিয়ে বিরোধে জড়ান। বিরোধের কারণেই আসনটি হাতছাড়া হয়।  বেগম সেলিমা রহমান ২০০৮ সালের নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছিলেন ৬৭ হাজার ভোট। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়নুল আবেদীন পেয়েছিলেন ২০ হাজার ভোট। এই দুজনের সম্মিলিত ভোটকেই বিএনপির ভোট বলেই তাদের বিবেচ্য।



রাইজিংবিডি/বরিশাল/১৮ মার্চ ২০১৮/জে.খান স্বপন/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়