ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

বরিশাল ডিবির ৮ সদস্য বরখাস্ত, উপ-কমিশনারকে অব্যাহতি

জে.খান স্বপন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:১৪, ১৯ মার্চ ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বরিশাল ডিবির ৮ সদস্য বরখাস্ত, উপ-কমিশনারকে অব্যাহতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল : বরিশালে ডিবিসির ক্যামেরাপার্সন সুমন হাসানকে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের আট সদস্যের সবাইকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত গোয়েন্দা পুলিশের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনারের পদ থেকে উত্তম কুমার পালকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

রাজশাহী থেকে আগত পুলিশ সুপার মো. মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁইয়াকে গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনারের নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

গত ১৩ মার্চ সাংবাদিক সুমনকে নির্যাতনের পর ১৪ মার্চ প্রধান অভিযুক্ত কনস্টেবল মাসুদুল হককে এবং ১৫ মার্চ অপর দুই কনস্টেবল চৌধুরী রাসেল পারভেজ ও মো. আব্দুর রহিমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

এ ঘটনায় গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রুনা লায়লার নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পর্যালোচনার পর রোববার রাতে পুলিশ কমিশনার রুহুল আমীন ওই দলের অপর পাঁচ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।

এরা হলেন- এসআই মো. আবুল বাশার, এএসআই মো. আক্তারুজ্জামান, এএসআই স্বপন চন্দ্র দে এবং কনস্টেবল কাজী সাইফুল ইসলাম।

আজ এবং ইতিপূর্বে দুই ধাপে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া গোয়েন্দা পুলিশের আট সদস্যকে অপরাধের বিষয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নোটিশের জবাব পাওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বিষয়টি আজ সোমবার সন্ধ্যায় নিশ্চিত করেছেন পুলিশ কমিশনার এস এম রুহুল আমিন।

তিনি বলেন, গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার উত্তম কুমার পালকে সরিয়ে দিয়ে পুলিশ সুপার মো. মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁইয়াকে গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ক্যামেরাপার্সন সুমন হাসানকে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত আট পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরাখাস্ত করাসহ তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সাংবাদিক নেতারা। একই সঙ্গে নির্যাতিত সুমনের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বরিশালসহ সারাদেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তারা।

উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ দুপুরে নগরীর বিউটি রোড থেকে ক্যামেরাপার্সন সুমনকে প্রকাশ্যে পেটাতে পেটাতে গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পথিমধ্যে গাড়িতে তার অণ্ডকোষ চেপে ধরাসহ ব্যাপক নির্যাতন করা হয়। এ ঘটনায় সাংবাদিকরা প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠলে তাৎক্ষণিক গোয়েন্দা পুলিশের ওই দলের আট সদস্যকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়।

ওই ঘটনার পর থেকে সুমন শেরে-ই বাংলা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন। এখনও শয্যাশায়ী তিনি। চিকিৎসকরা বলেছেন, সুমনের অণ্ডকোষে ব্যথা রয়েছে। ধীরে ধীরে এই ব্যথা উপশম হবে।



রাইজিংবিডি/বরিশাল/১৯  মার্চ ২০১৮/জে.খান স্বপন/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়