ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

সিরিয়ায় হামলা চালিয়ে কী পেলেন ট্রাম্প

শাহেদ হোসেন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:২৪, ১৫ এপ্রিল ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সিরিয়ায় হামলা চালিয়ে কী পেলেন ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কথিত রাসায়নিক হামলারর্ অভিযোগে সিরিয়ায় বিমান হামলা চালানোর ২৪ ঘন্টা না পেরুতেই শনিবার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার টুইট বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘মিশন অ্যাকমপ্লিশড, আমরা জিতেছি।’

২০০৩ সালে ইরাক যুদ্ধের সময়‘মিশন অ্যাকমপ্লিশড’ অর্থাৎ আভিযান সুষ্ঠুভাবে শেষ হয়েছে কথাটা বলেছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ। তবে তার এই মন্তব্যের জন্য ক্ষমতার বাকী দিনগুলোতে সমালোচনাই শুনতে হয়েছে তাকে। কারণ আক্ষরিক অর্থে বিজয়তো দূরের কথা,‘মিশন’ শেষ হওয়ার আট বছর পরে ২০১১ সালে ইরাক থেকে সেনাবাহিনী সরাতে সক্ষম হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

শনিবার জর্জ বুশের কথা ধার করে টুইট করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু আদতেই বিজয় পেয়েছেন ট্রাম্প? কিংবা সিরিয়া পরিস্থিতে কতটুকুই প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছেন তিনি?

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা অনলাইন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, টুইটার বাস্তাবতা আর সিরিয়ার বাস্তবতায় আকাশ-পাতাল ফারাক রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের এই হামলায় সিরিয়া সরকারের যুদ্ধের সামর্থ্য এক বিন্দুও কমেনি। এমন প্রেসিডেন্ট আসাদের নীতি-নৈতিকতারও কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি এই হামলা।

আগামী ১৫ মার্চ আট বছরে পড়তে যাচ্ছে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ। এই যুদ্ধে ইতিমধ্যে সিরিয়ার অধিকাংশ শহর ধ্বংস হয়ে গেছে। নিহত হয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ। আর বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৬০ লাখেরও বেশি মানুষ। শুক্রবার রাতে সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র গুদাম ধ্বংস করে যে দাবি পশ্চিমারা করেছে তাতেও সিরিয়া সংকটের বড় কোনো সমাধান হয়নি।

কয়েকজন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকের মতে, এই হামলা কেবল একটি লক্ষ্য অর্জন করতে পেরেছে। আর তা হচ্ছে, সিরিয়ায় রাশিয়ার সেনাদের যেন প্ররোচিত করা না হয়। এর ফলে মস্কো ও ওয়াশিংটনের মধ্যে সম্ভাব্য উত্তেজনা প্রশমন করা গেছে। হামলার আগে ট্রাম্পের সেই কড়া ভাষণের কোনো বাস্তুব প্রতিফলনই দেখা যায়নি সিরিয়ায়।

ট্রাম্পের মতো একই সুরে কথা বলেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, এই বিমান হামলার উদ্দেশ্য সিরিয়ার ‘শাসক পরিবর্তন নয় কিংবা এর গৃহযুদ্ধে হস্তক্ষেপ নয়।’ তবে ‘এর উদ্দেশ্য হচ্ছে সিরিয়া সরকার রাসায়নিক অস্ত্রের যে ব্যবহার করেছে তা থেকে তাদের নিবৃত্ত করা।’

ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন ইভস লি ড্রিয়ানও প্রায় একই কথা বলেছেন। তার বক্তব্য হচ্ছে, সিরিয়ার মিত্র অর্থাৎ রাশিয়া এবং সম্ভবত ইরান ও হিজবুল্লাহকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ এপ্রিল ২০১৮/শাহেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়