ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

এটিএন কমিউনিকেশনের ৩২ লাখ টাকার শুল্ক ফাঁকি

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:১০, ১৬ এপ্রিল ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
এটিএন কমিউনিকেশনের ৩২ লাখ টাকার শুল্ক ফাঁকি

নিজস্ব প্রতিবেদক : মিথ্যা ঘোষণায় ওষুধ ও মোবাইল ফোন আমদানিতে সাড়ে ৩২ লাখ টাকার শুল্ক ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের শুল্ক মূল্যায়ন ও অডিট বিভাগ (সিভিএ)।

রাজধানীর পরিবাগে এটিএন কমিউনিকেশন নামে একটি কোম্পানিতে অডিটে ওই ফাঁকির বিষয়টি উদঘাটন হয় বলে সোমবার শুল্ক মূল্যায়ন ও অডিট বিভাগের (সিভিএ) কমিশনার ড. মইনুল খান রাইজিংবিডিকে নিশ্চিত করেছেন।

মইনুল খান জানান, শুল্ক মূল্যায়ন ও অডিটের একটি দল অভিনব পদ্ধতিতে ব্যাংকের কাগজ জালিয়াতির মাধ্যমে আমদানি ও শুল্ক খালাস করার অপকৌশল উদঘাটন করেছে। আমদানিকারকের নাম এটিএন কমিউনিকেশন, মোতালিব প্লাজা, পরিবাগ, ঢাকা। এ বিষয়ে শুল্ক আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সিভিএ সূত্রে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটি মোবাইল ফোনের আমদানিকারক ও সরবরাহকারী হিসেবে নিবন্ধিত।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, আমদানিকারক ইউসিবিএলের গুলশান শাখায় তিনটি এলসি খোলে। এগুলোর মাধ্যমে ওই প্রতিষ্ঠান সেলুলার ফোন আমদানির কথা বলে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি ঢাকা কাস্টম হাউসের এয়ারফ্রেইটে ৬টি বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে ২ ধরনের পণ্য খালাস নিয়ে ব্যাপক হারে শুল্ক ফাঁকি দিয়েছে।

এলসিসমুহের তিনটি বিল অব এন্ট্রিতে আমদানিকারক মোবাইল ফোনের পরিবর্তে ওষুধের কাঁচামাল শূন্য হারে খালাস নিয়েছে। বাকি তিনটি বিল অব এন্ট্রিতে মোবাইল ফোন দেখালেও ভুয়া কাগজ দাখিল করে প্রকৃত মূল্য কম দেখিয়ে শুল্ক ফাঁকি দিয়েছে।

সূত্র জানায়, ব্যাংকের মূল দলিল পর্যালোচনায় দেখা যায় প্রতিষ্ঠানটি কেবল মোবাইলের জন্য এবং প্রতি পিস ৯ দশমিক ৫ ও ৭ দশমিক ৩ মার্কিন ডলার দেখিয়েছে। কিন্তু কাস্টম হাউসের তথ্যে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি প্রতি পিস ৬ ডলার করে শুল্কায়ন করেছেন। এক্ষেত্রে প্রকৃত মূল্য অবমূল্যায়ন করা হয়েছে।

অন্যদিকে ওষুধের জন্য কোনো এলসি খোলা না হলেও অসত্য কাগজ দাখিল করে এবং ওষুধ প্রশাসনের বৈধ কাগজ না থাকলেও তা শূন্য শতাংশ হারে খালাস নিয়েছে। অথচ প্রতিষ্ঠানটি সবগুলোতেই মোবাইল ফোন আমদানি করেছিল এবং শুল্ক জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে।

এখানে উল্লেখ্য ওষুধের কাঁচামালে শূন্য শতাংশ শুল্ক এবং মোবাইলে মোট ২৯ দশমিক ৫ শতাংশ শুল্ক প্রযোজ্য।

মোবাইল ফোনের তিনটি এলসি মূল্য ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। মোবাইল ফোন হিসেবে জালিয়াতির মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দেওয়া হয়েছে প্রায় ৩২ লাখ ৫০ হাজার টাকা।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৬ এপ্রিল ২০১৮/এম এ রহমান/এসএন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়