ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

বাপ্পি হত্যা : পৌর মেয়রসহ দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

শাহরিয়ার সিফাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৫৭, ৮ মে ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বাপ্পি হত্যা : পৌর মেয়রসহ দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল : ছাত্রনেতা আমিনুর রহমান খান বাপ্পি হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল পৌরসভার বর্তমান মেয়র জামিলুর রহমান মিরন ও আজাদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত।

মেয়র জামিলুর রহমান মিরন টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। অপরদিকে আজাদ সিদ্দিকী সরকারি সা’দত কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি)। তিনি সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী ও কৃষক শ্রমিক লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তমের আপন ছোট ভাই। আজাদ সিদ্দিকী তার ভাই কাদের সিদ্দিকী প্রতিষ্ঠিত কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

আদালত সূত্র জানায়, জামিলুর রহমান মিরন ও আজাদ সিদ্দিকী উভয়েই মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় কারাগারে থাকা টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার বড় ভাই আমিনুর রহমান খান বাপ্পি হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি। তারা দুজনেই এ মামলায় জামিনে আছেন।

গতকাল ৭ মে সোমবার টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বাপ্পি হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। ওইদিন গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে এমপি রানাকে আদালতে হাজির করা হয়। এ মামলায় তিনি তার সাক্ষ্য দেন। কিন্তু জামিলুর রহমান মিরন ও আজাদ সিদ্দিকী পরপর বেশ কয়েক তারিখ আদালতে হাজির না থাকায় আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া তাদের জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। 

উল্লেখ্য, ২০০৩ সালের ২১ নভেম্বর সন্ধ্যায় রানার বড় ভাই ছাত্রনেতা আমিনুর রহমান খান বাপ্পি সন্ত্রাসী হামলায় নিজ বাসার কাছে নিহত হন। এ সময় বাপ্পির সঙ্গী আব্দুল মতিন নামে এক ব্যক্তিও মারা যান। ঘটনার পর রানার বাবা আতাউর রহমান খান বাদী হয়ে টাঙ্গাইল থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলায় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি আব্দুল কাদের সিদ্দিকী ও আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর দুই ভাই মুরাদ সিদ্দিকী ও আজাদ সিদ্দিকী, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান মিরন, জেলা বিএনপির নেতা আলী ইমাম তপন, পৌর কমিশনার রুমি চৌধুরী, ছাত্রদল নেতা আব্দুর রৌফসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়।

তদন্ত শেষে ২০০৭ সালে সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার খোরশেদ আলম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।



রাইজিংবিডি/টাঙ্গাইল/৮ মে ২০১৮/শাহরিয়ার সিফাত/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়