আফগানিস্তানের থেকে স্পিনে এগিয়ে বাংলাদেশ : মিরাজ
ক্রীড়া প্রতিবেদক : ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফি জিতেছিল আকরাম-বুলবুল-নান্নুদের বাংলাদেশ। ওই জয়ে বাংলাদেশ পেয়েছিল বিশ্বকাপে খেলার টিকেট। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ হারায় পাকিস্তানকে। যার হাত ধরে আসে এ সাফল্য তার নাম গর্ডন গ্রিনিজ। সেই গর্ডনকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড দিয়েছে সংববর্ধনা। আজ গর্ডন গ্রিনিজ দিয়েছিলেন মিরপুরে। বর্তমান ক্রিকেটারদের সঙ্গে সময় কাটান।
বাংলাদেশ যখন আইসিসি ট্রফি জেতে তখন মেহেদী হাসান মিরাজের বয়স মাত্র তিন। ওই সময়ের কোনো কিছুই তার মনে নেই। চেনেন না গর্ডন গ্রিনিজকেও! দুদিন আগে বিসিবির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জেনেছেন, তিনি ছিলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন কোচ। আজ মিরপুরের একাডেমিতে তার সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন মিরাজ। কথা বলেছেন টুকটুাক। যতটুকু কথা বলেছেন তাতেই মুগ্ধ মিরাজ,‘অবশ্যই ভালো লাগছে। তিনি কিংবদন্তি। বাংলাদেশের কোচ ছিলেন। তার সাথে কথা বলে ভালো লেগেছে।উনি বলছেন, কষ্ট করতে হবে, পরিশ্রম করতে হবে।’
দীর্ঘদিন ধরেই কঠোর পরিশ্রম করে আসছেন, মেনে আসছেন মিরাজ। বয়স ভিত্তিক দল থেকেই পরিশ্রমী ডানহাতি এ স্পিন অলরাউন্ডার। ইনজুরির কারণে শেষ একমাস পূর্ণ অনুশীলন করতে পারেননি। ইনজুরিতে থেকে ফিরে এখনও শতভাগ ফিট নন মিরাজ। তবে থ্রোংয়িংয়ে দিতে হবে আরও কিছু সময়। মঙ্গলবার একাডেমিতে মিরাজ বলেছেন,‘এখন থ্রোয়িং করছি (কাঁধে চোট ছিল)। এখনো আমি শতভাগ জোরে করছি না। ব্যালেন্স আনার চেষ্টা করছি। বোলিংয়ে যে সমস্যা ছিল, তা এখন আর নাই। থ্রোয়িংয়ে এখন ২৫ মিটার পর্যন্ত ঠিকঠাক করছি। জিম ও রিহ্যাব করে সব ঠিক করতে হবে।’
আফগানিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজে তার দলে থাকা হবে কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে সিরিজের পরিকল্পনা নিজ থেকে শুরু করেছেন তরুণ তুর্কী। দুই দলেরই স্পিন বিভাগ শক্তিশালী। ওদের মোহাম্মদ নবী, রশিদ খান, মুজিবর-উর-রহমান রয়েছে। বাংলাদেশের রয়েছে সাকিব, অপু, মিরাজ, মাহমুদউল্লাহরা। অভিজ্ঞতায় মিরাজ এগিয়ে রাখলেন বাংলাদেশকেই,‘আসলে আফগানিস্তানের দুজন স্পিনার ভালো। আমাদেরও অভিজ্ঞতা আছে। সাকিব ভাই আছে। রিয়াদ ভাইও প্রয়োজনে ভালো বোলিং করেন। সব মিলিয়ে বলবো যে, আমাদের স্পিনারদের মধ্যে যোগাযোগটা ভালো। এ ছাড়া অভিজ্ঞতা আমাদেরই বেশি। তাই আমরাই এগিয়ে।’
রশিদ খানকে নিয়ে আলাদা ‘ভয়’ রয়েছে বাংলাদেশ শিবিরে। মিরাজের মনে অবশ্য ওই ‘ভয়’ নেই। সোজাসাপ্টা বললেন,‘সাকিব ভাই আইপিএল ডমিনেট করে খেলেন। এটা আমাদের জন্য সুবিধা তৈরি করে দিবে। রশিদ আমাদের দেশে খেলেছে। ওকে ব্যাটসম্যানরা খেলেছে। আমরা যদি যার যার শক্তি অনুসারে খেলি, মনে হয় না কোনো সমস্যা হবে।’
আফগানিস্তানের বিপক্ষে আগামী মাসে ভারতের দেরাদুনে ৩টি টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। সাকিব, মুশফিকরা বাংলাদেশ ছাড়বে ২৯ মে।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৬ মে ২০১৮/ইয়াসিন
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন