ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

তিন উপজেলায় একুশ পুকুর খননের উদ্যোগ

মুহাম্মদ নূরুজ্জামান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:২৯, ২০ জুন ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
তিন উপজেলায় একুশ পুকুর খননের উদ্যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা: আইলায় ক্ষতিগ্রস্ত সুন্দরবন সংলগ্ন খুলনার তিন উপজেলা কয়রা, পাইকগাছা ও দাকোপে মিস্টি পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য খনন করা হচ্ছে একুশটি পুকুর।

এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ৫ কোটি ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর পুকুর খনন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০০৯ সালের ২৫ মে প্রাকৃতিক দুর্যোগ আইলা আঘাত হানার পর থেকে সুন্দরবন সংলগ্ন ওই তিন উপজেলায় তীব্র খাবার পানির সংকট চলছে। শুষ্ক মৌসুমে পানির লবণাক্ততা বাড়ার পর এ অঞ্চলে পানের অযোগ্য হয়ে পড়ে ভূ-গর্ভস্থ পানি। বিশেষ করে দাকোপের সুতার খালি ও পাইকগাছার দেলুটি ইউনিয়নে শুষ্ক মৌসুমের আট মাস পানি কিনে খেতে হয়। এ সংকট নিরসনে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর পাইকগাছা, দাকোপ উপজেলায় ৬টি করে ১২টি এবং কয়রা উপজেলায় ৯টি পুকুর খনন করছে। আগস্ট নাগাদ পুকুর খনন কাজ শুরু হবে।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের দাকোপ উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মিলন ফকির জানান, চালনা পৌরসভা, সুতার খালি, কৈলাশগঞ্জ, কালাবগি, চুনকুড়ি, কচাবাজুয়া ও তিলডাঙ্গা এলাকায় পানি সংকট নিরসনের জন্য ৬টি পুকুরের পাশাপাশি ৫শ’ পয়েন্টে বৃস্টির পানি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পয়েন্টগুলোর মধ্যে স্কুল, মসজিদ, মন্দির ও ব্যক্তি পর্যায়ের বাড়ি।

তার দেওয়া তথ্য মতে, দু’ মাসের মধ্যে পুকুর খনন প্রকল্প শেষ হবে।

পাইকগাছা উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলামের দেওয়া তথ্য মতে, দেলুটি, গড়ইখালি, রাড়ুলি ও হরিঢালি ইউনিয়নে পুকুর খননের কাজ শেষ হওয়ার পথে। এছাড়া এই উপজেলার ৫শ’ পয়েন্টে, কয়রা উপজেলায় ২শ’ পয়েন্টে, বটিয়াঘাটা, তেরখাদা ও ডুমুরিয়া উপজেলার ৮০টি করে পয়েন্টে বৃস্টির পানি সংরক্ষণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ৪০ হাজার মানুষ নিরাপদ পানি পাবে।




রাইজিংবিডি/খুলনা/২০ জুন ২০১৮/মুহাম্মদ নূরুজ্জামান/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়