ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ঈদে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের ভিড়

রেজাউল করিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৫৫, ২০ জুন ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ঈদে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের ভিড়

রেজাউল করিম, চট্টগ্রাম : এক সময়ের অবহেলিত, প্রাণী শূন্য চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা বর্তমানে বিনোদনের নতুন প্রাণ নিয়ে এসেছে। নগরীর শিশু-কিশোরসহ সববয়সী মানুষের সবচেয়ে বড় এবং সমৃদ্ধ বিনোদন মাধ্যম হয়ে উঠেছে নগরীর খুলশী থানার ফয়েজ লেক এলাকায় অবস্থিত চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন নিয়ন্ত্রিত এই চিড়িয়াখানা।

এবারের ঈদে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা বিনোদনে সাড়া জাগিয়েছে। ঈদের পরের পাঁচ দিনে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা থেকে সরকার আয় করেছে ৩০ লাখ টাকা। এক সময় অবহেলিত চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার এমন সমৃদ্ধি আর আমূল বদলে যাওয়ার নেপথ্যে রয়েছেন একজন চৌকস সরকারি কর্মকর্তা। তিনি হলেন চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব এবং বর্তমানে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমীন।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, গত কয়েক বছরে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা আমূল পাল্টে গেছে। নানা পশুপাখিতে চিড়িয়াখানা সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে কাজে লাগিয়ে আধুনিকায়ন করা হয়েছে। পশু-পাখির তালিকায় যুক্ত হয়েছে জেব্রা, সিংহ, বাঘসহ নানা বৈচিত্র্যময় পশুপাখি। চিড়িয়াখানার ভেতরে শিশুদের জন্য তৈরি হয়েছে মিনি শিশুপার্ক, খেলার মাঠ, বড়দের সময় কাটানোর জন্য তৈরি হয়েছে নয়নাভিরাম পরিবেশ। এর ফলে এই চিড়িয়াখানা সব বয়সী মানুষের কাছে আকর্ষণীয় বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।

 



ঈদের দিন বিকেল থেকে শত শত দর্শক, প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ভিড় করতে থাকে। আজ বুধবার পর্যন্ত এক লাখের বেশি দর্শক সমাগম হয় চিড়িয়াখানায়। এতে ৩০ লাখ টাকা রাজস্ব আয় করতে সক্ষম হয় কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার সদস্য সচিব এবং কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমীন রাইজিংবিডিকে জানান, ১৯৮৯ সালে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা প্রতিষ্ঠা হয়। এর পর দীর্ঘ সময় এটি অনেকটা পশুপাখি শূন্য ছিল। অবহেলা, নানা অব্যবস্থাপনা আর পশুপাখি না থাকার কারণে এখানে দর্শক আসতেন না।

রুহুল আমীন জানান, তিনি ২০১৪ সালের জুন মাসে চিড়িয়াখানার সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব নেন। এরপর থেকে চিড়িয়াখানার উন্নয়নে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন প্রকল্প নেন এবং পশুপাখিতে চিড়িয়াখানাকে সমৃদ্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। বর্তমানে এখানে ৬৭ প্রজাতির ৪ শতাধিক পশু-পাখি আছে। চিড়িয়াখানার টিকিট বিক্রির টাকায় নির্মাণ করা হয়েছে আধুনিক সীমানা প্রাচীর, পশুপাখির খাঁচা, আবর্জনার ভাগাড়কে করা হয়েছে নান্দনিক বৈঠকখানা, তিতিরপাখিকে দেওয়া হয়েছে পৃথক ঘর, লাগানো হয়েছে এক হাজার ফলজ বৃক্ষ।

 



রুহুল আমীন জানান, চট্টগ্রাম শহরে শিশুদের জন্য তেমন বিনোদন কেন্দ্র নেই। তাই চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানাকে আরো বড়, আধুনিক বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত করতে মেগা প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে। চলতি বছরে আরো দুর্লভ প্রজাতির পশুপাখি যুক্ত হবে এবং চিড়িয়াখানা হবে চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় সমৃদ্ধ বিনোদন কেন্দ্র।



রাইজিংবিডি/চট্টগ্রাম/২০ জুন ২০১৮/রেজাউল/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়