ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

‘চোরাচালানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের প্রতি শৈথিল্য দেখানো হবে না’

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৪৫, ১০ জুলাই ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘চোরাচালানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের প্রতি শৈথিল্য দেখানো হবে না’

নিজস্ব প্রতিবেদক : শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. মো. সহিদুল ইসলাম বলেছেন, অবৈধভাবে মাদক আমদানি, শুল্ক ফাঁকি ও চোরাচালানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কাস্টমস ও মাদক আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে সে যে হোক না কেন আইনগত ব্যবস্থা নিতে শৈথিল্য দেখানো হবে না।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রাজধানীর উত্তরা ক্লাবে অভিযান ও শুল্ক গোয়েন্দার চলমান কার্যক্রম বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংস্থাটি।

ড. সহিদুল ইসলাম বলেন, রাজধানীর অনেক ক্লাবের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে মাদক আমদানি, শুল্ক ফাঁকি ও চোরাচালানের মাধ্যমে মাদক এনে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহে কাজ চলছে। প্রমাণের ভিত্তিতে সেসব ক্লাবের অভিযান পরিচালনা করা হবে।

রাজধানীর কোন কোন ক্লাবে অবৈধ মদ ও মাদকদ্রব্য আছে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে শহিদুল ইসলাম বলেন, অনেক অভিজাত ক্লাবে অবৈধ মদ ও মাদকদ্রব্য আছে, এমন অভিযোগ আছে। যা এই মুহূর্তে তদন্তের স্বার্থে বলা যাবে না। সবার অভিযোগ অনুসন্ধান চলছে। অভিযোগ মোতাবেক তদন্তও হচ্ছে। আমাদের জনবল কম, তাই কিছুটা দেরি হচ্ছে। তবে এটা সবার মনে রাখতে হবে, যত বড়ই হোক, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। এটাও সত্যি যে, অভিযোগ পেলেই আমরা অভিযানে যাব না। কারণ, অভিযানে গেলে আমাদের শক্ত প্রমাণ লাগে। আর অন দ্য স্পটে ধরতে হবে। তাই যারা অভিযোগ দিচ্ছে তাদের বলছি, আপনারা চোখ রাখুন এবং যৌক্তিক প্রমাণ সংগ্রহ করুন।

চোরাচালান ও অবৈধ মাদকদ্রব্য বহনকারীরাই ধরা খাচ্ছে। কিন্তু এদের অন্তরালে বড় বড় ব্যবসায়ীরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে কেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, চোরাচালান ও অবৈধ মাদকদ্রব্য বহনকারীর সংখ্যা বেশি। তাই ঘুরে ফিরে তাদেরই দেখা যাচ্ছে এবং তারাই বেশি ধরা পড়ছে। তবে এটা সত্যি নয় যে, অন্তরালে থাকা ব্যবসায়ীরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। তাদেরও ধরা হচ্ছে। তবে তাদের সংখ্যা খুব কম।

এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার, হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচার, বন্ড সুবিধার অপব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে চলমান কার্যক্রম জোরদার করা হবে বলে জানানো হয়।

এর আগে গতকাল ঢাকার অভিজাত ক্লাব উত্তরা ক্লাবে অভিযান চালিয়ে ৫ কোটি টাকার বিদেশী বিভিন্ন ব্রান্ডের মদ, হুইস্কি, ওয়াইন, ভদকা ও বিয়ার উদ্ধার করে শুল্ক গোয়েন্দা।

শুল্ক গোয়েন্দা জানায়, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে গোপন সংবাদ থাকায় এ দপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালকের নেতৃত্বে র‌্যাব ও আনসার সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত টিম উত্তরা ক্লাবে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ মাদকদ্রব্য জব্দ করে। উত্তরা ক্লাব দীর্ঘদিন ধরে শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানিকৃত বিদেশী বিভিন্ন ব্রান্ডের মদ ও মাদকদ্রব্য অবাধে বিক্রয় করছে। এ অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার দুপুরে একটি টিম উত্তরা ক্লাবে অবস্থান নেয়। অভিযানের শুরুতে ক্লাব কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা না করায় বিকেল ৫টার দিকে ক্লাবের তালা ভেঙে অভিযান শুরু করা হয়। অভিযানে প্রায় ৫ কোটি টাকা মূল্যের ৩ হাজার ৪৫ বোতল ও ২ হাজার ৫০০ ক্যান বিদেশী বিভিন্ন ব্রান্ডের মদ, হুইস্কি, ওয়াইন, ভদকা ও বিয়ার জব্দ করা হয়।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ জুলাই ২০১৮/এম এ রহমান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়