ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

হুমায়ূন আহমেদকে শ্রদ্ধা জানাতে নুহাশপল্লীতে মানুষের ঢল

হাসমত আলী || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৪১, ১৯ জুলাই ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
হুমায়ূন আহমেদকে শ্রদ্ধা জানাতে নুহাশপল্লীতে মানুষের ঢল

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর : জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে সকাল থেকেই ভক্ত ও তার বইয়ের পাঠকদের ঢল নেমেছে।

কবর জিয়ারত, পুষ্পস্তবক অর্পণ, কোরআন খানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে  আজ এই কথাশিল্পীর ৬ষ্ঠ মৃত্যু বার্ষিকী  পালিত হচ্ছে।

দুপুর ১২ টার দিকে তার কনিষ্ঠ দুই পুত্র নিষাদ ও নিনিতকে নিয়ে নুহাশপল্লীতে আসেন হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন। তিনি ছেলেদের নিয়ে হুমায়ূন আহমেদ’র কবরে পুস্পস্তবক অর্পণ এবং ফাতেহা পাঠ করেন ও মোনাজাতে অংশ নেন। এসময় মেহের আফরোজ শাওন বাবা ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী, হুমায়ুন আহমেদের ভক্ত, হিমু পরিবারের সদস্য, হিমু পরিবহনের সদস্য, নুহাশপল্লীর পাশের মাদ্রাসার এতিম ছাত্ররা মোনাজাতে অংশ নেয়।



পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘হুমায়ূন আহমেদ ছাড়া প্রতিটি দিনই তার পরিবারের, ভক্তদের একই রকম কষ্টের। ১৯ জুলাই ২০১২ পর ফের ১৯ জুলাই নয়, প্রতিটি দিনই তাকে স্মরণ করে কাটে।’

শাওন বলেন, ‘প্রত্যাশা পূরণের কথা যদি বলেন- সত্যি কথা বলতে কোন প্রত্যাশা নেই। হুমায়ূন আহমেদ যা করে গেছেন তার লেখা, তার নির্মাণ, তার কর্মের মধ্যেই উনি বেঁচে আছেন। লেখার মাধ্যমে তিনি ভক্তদের মধ্যে বেঁচে আছেন।’

শাওন বলেন, ‘হুমায়ূন আহমেদের মতো একজন গুনী লেখক আমাদের বাংলা সাহিত্যে আছেন, বাংলাদেশে যার জন্ম। খুব স্বপ্ন দেখতাম তার নামে একটি রাস্তা বা চত্বরের। যে বইমেলাকে তিনি এক হাতে টেনে নিয়ে গেছেন কুড়ি বছরেরও বেশি। বাংলাবাজারের যে প্রকাশনা সংস্থাগুলো, সব প্রকাশকের যেখানে অফিস বা তাদের কাজের যে জায়গা গুলো। বাংলাবাজারের একটা রাস্তা হতে পারত হুমায়ূন আহমেদের নামে। এমন কিছু স্বপ্ন ছিল। স্বপ্নতো এমনই, পূরণ না হলেও আমরা স্বপ্ন দেখে যাই। সে স্বপ্ন আমি আজীবন দেখব। হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে কখনো একটা চত্বর বা একটা রাস্তা হবে।’



শাওন আরো বলেন, ‘ক্যান্সার হাসপাতালের প্রত্যাশা আমার না।  হুমায়ূন আহমেদ তার লেখায় বলে গেছেন ক্যান্সার হাসপাতালের কথা। প্রত্যেক বারই এই প্রশ্নের উত্তর আমাকে দিতে হয়। আমার খুবই কষ্ট লাগে একই উত্তর বার বার দিতে। এটি আমার বা পরিবারের একার পক্ষে করা সম্ভব হয়ে উঠছে না। সামগ্রিকভাবে এটা হবার একটা চেষ্টা চালাতে হবে। আমাদের দেশের যারা গুনীজন আছেন, নীতি নির্ধারকরা আছেন, প্রত্যেকবারই আমি তাদের কাছে আমি অনুরোধ করি- যে তারা যদি সম্মিলিতভাবে একটা ডাক দেন। তাহলে হয়ত হুমায়ূন আহমেদের স্বপ্নের হাসপাতালটা হতে পারে।’

শাওন বলেন, ‘হুমায়ুন আহমেদ স্মৃতি যাদুঘর’ প্রক্রিয়াধীণ আছে। নুহাশ পল্লীর নিজস্ব অর্থে আমরা এটা করতে চাচ্ছি।  আশা করছি যাদুঘরের এ কাজটা যত দ্রুত সম্ভব আমরা শুরু করব।’

এদিকে সকাল থেকেই হুমায়ূন আহমেদ’র ভক্তরা নুহাশপল্লীতে আসছেন। তাদের অনেকেই প্রিয় লেখকের কবরে ফুল দিচ্ছেন এবং নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে থেকে তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছেন। আবার অনেকে ঘুরে ঘুরে হুমায়ূন আহমেদ’র হাতে গড়া নুহাশ পল্লী দেখছেন।



রাইজিংবিডি/গাজীপুর /১৯ জুলাই ২০১৮/হাসমত আলী/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়