আচমকা মোদিকে জড়িয়ে ধরলেন রাহুল
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লোকসভায় শুক্রবার অনাস্থা প্রস্তাবের আলোচনায় ভাষণ দিতে দিতেই আচমকা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আলিঙ্গন করেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। রাহুলের এই আলিঙ্গনে ভ্যাবচ্যাকা খেয়ে যান মোদি। তার মধ্যেই বলতে থাকেন রাহুল এবং ফিরে আসেন নিজের আসনে।
শুক্রবার সকালে লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাবের উপর আলোচনা শুরু হয়।তুমুল হৈচৈ এর জেরে কিছুক্ষণের জন্য অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায়। তারপর ফের শুরু হয় আলোচনা। ফের শুরু হয় হয় বিশৃঙ্খলা। তার মধ্যেই রাহুল বলতে শুরু করেন, ‘আপনারা আমাকে তাচ্ছিল্য করতে পারেন, আমাকে পাপ্পু বলতে পারেন। কিন্তু আমি আপনাদের প্রতি এক বিন্দুও বিদ্বেষ ছড়াবো না। একজন হিন্দু বলতে এটাকেই বোঝায়।’
এ কথা বলতে বলতে আচমকাই নিজের জায়গা ছেড়ে হেঁটে চলে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসনের কাছে। প্রধানমন্ত্রী বসে ছিলেন। ওই অবস্থাতেই রাহুল ঝুঁকে কার্যত জড়িয়ে ধরেন তাকে।
এর আগে রাহুল মোদিকে আক্রমণ করে বলেছিলেন, ‘আপনি চৌকিদার নন, ভাগীদার প্রধানমন্ত্রী।’
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, তিনি দেশের চৌকিদার। কিন্তু তিনি আসলে দুর্নীতির ভাগীদার। কারণ বিভিন্ন দুর্নীতির অংশীদার প্রধানমন্ত্রীও। রাফায়েল দুর্নীতি নিয়ে তোপ দেগে তিনি বলেন, বিজেপি ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী এই চুক্তিতে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটে নিয়েছেন।
বারবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর নাম নেওয়ায় নির্মলা সীতারামন তীব্র প্রতিবাদ করেন।
স্পিকার যদিও বলেন, কংগ্রেস সাংসদের বক্তব্যের পর মন্ত্রীকেও জবাব দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। কিন্তু সেই আর্জিতে বিজেপি সাংসদ মন্ত্রীরা কান না দিয়ে তুমুল হই হট্টগোল শুরু করেন। রাহুলের বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেন। স্পিকার অল্প সময়ের জন্য অধিবেশন মুলতুবি করেন। ফের অধিবেশন চালু হলে রাহুল বক্তব্য রাখতে শুরু করেন।
অনাস্থা ভোটের আগেই এনডিএ-র অন্যতম বড় শরিক শিবসেনা ঘোষণা করে, তারা আলোচনা ও ভোটাভুটিতে অংশ নেবে না। অন্যদিকে, শুরুতেই কক্ষ ত্যাগ করেন বিজু জনতা দলের সাংসদরা। আলোচনার শেষে হবে ভোটাভুটি। গোটা প্রক্রিয়ার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে সাত ঘণ্টা।
সূত্র : এনডিটিভি অনলাইন ও আনন্দবাজার
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ জুলাই ২০১৮/শাহেদ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন