ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

টাঙ্গাইলে কোরবানির পশুর চাহিদা ৪৫ হাজার

শাহরিয়ার সিফাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:৪৮, ১৪ আগস্ট ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
টাঙ্গাইলে কোরবানির পশুর চাহিদা ৪৫ হাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের ১২ টি উপজেলায় ৪৫ হাজার কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে, মজুদ আছে প্রায় ৬০ হাজার। কোনপ্রকার আমদানি ছাড়াই  নিজস্ব পশু দিয়েই সম্পন্ন করা যাবে এ জেলার কোরবানি কার্যক্রম।

কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে টাঙ্গাইলের খামারিরা এখন পশুর শেষ সময়ের পরিচর্যায়। গত বছর ব্যবসা ভালো হওয়ায় এবার টাঙ্গাইলে খামারের সংখ্যাও বেড়েছে। দেশীয় পদ্ধতিতেই এসব খামারে মোটাতাজাকরণের প্রক্রিয়া সুসম্পন্ন হয়েছে।

দেশীয় পদ্ধতিতে মোটাতাজাকৃত পশুর চাহিদা বেশি, ঝুঁকিপূর্ণ কোনো পদ্ধতিতে যায়নি জেলার খামারিরা। যদিও এবার পশুখাদ্য খড়, ভুষি, তিল-খৈলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

স্থানীয় খামারিদের দাবি, হাটে প্রতিবেশি দেশের পশু না এলেই তারা পুষিয়ে নিতে পারবেন। এ অবস্থায় তারা প্রশাসনের পদক্ষেপ চেয়েছেন।

খামারিদের অভিযোগ, একদিকে তারা সরকারি কোনো ঋণ সহায়তা পাননি অন্যদিকে প্রাণিসম্পদ বিভাগের চিকিৎসকরাও মাঠ পর্যায়ে যাচ্ছেন না। পশু অসুস্থ হলে তাদের খবর দিলেও তারা যান না।

কাগমারা এলাকার খামারি মাওলানা আব্দুল মামুন বলেন, ‘প্রাকৃতিকভাবে ঘাস, খড়, খৈল-ভুষি খাইয়ে গরু মোটাতাজাকরণ করছি।  বাহির থেকে কোন গরু আমদানি না হলে আমরা একটু বেশিই লাভবান হতে পারতাম।’

দাইন্যা ইউনিয়নের ফুটানী বাজার এলাকার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর পশুখাদ্যের দাম অনেকটা বেশি। অসাধু পন্থা অবলম্বন না করায় আমার প্রতিটি গরুতে অনেক বেশি খরচ হয়েছে।’

সন্তোষ এলাকার মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘অনেক যত্নে আমার খামারের গরুগুলো লালন পালন করেছি। আমার পরিবারের সকল সদস্যই পরিচর্যায় অংশ নিয়েছে।’

টাঙ্গাইল জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এস.এম আউয়াল হক বলেন, ‘এ জেলার ১২টি উপজেলায় ৪৫ হাজার পশুর চাহিদা থাকলেও আমাদের কাছে মজুদ প্রায় ৬০ হাজার। কোনো প্রকার আমদানি ছাড়া  নিজস্ব পশু দিয়েই জেলার কোরবানি কার্যক্রম সম্পন্ন করা যাবে।’




রাইজিংবিডি/টাঙ্গাইল/১৪ আগস্ট ২০১৮/শাহরিয়ার সিফাত/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়