ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে অগ্রগতি

রেজাউল করিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:৪৫, ১৪ আগস্ট ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে অগ্রগতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম নগরীর দুঃখ ‘জলাবদ্ধতা’ নিরসনে সেনাবাহিনীর সহায়তায় বাস্তবায়ন হচ্ছে ৫০০ কোটি টাকার প্রকল্প। আশা করা হচ্ছে, আগামী ৩ বছরের মধ্যে নগরবাসী এর সুফল ভোগ করবে।

প্রকল্পটির গুরুত্ব বিবেচনা করে অতি দ্রুততার সাথে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে প্রকল্পের ১০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে- জানিয়েছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ সালাম।

সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল পুন:খনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়নে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সিডিএ’র সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয় গত ৯ এপ্রিল।

এর আগে গত বছরের ৯ আগস্ট ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকার প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন পায়। গত ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। বরাদ্দ পাওয়ার পর চলতি বছরের ২৮ এপ্রিল সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সহায়তায় প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ শুরু হয়েছে। কাজ শুরুর তিন মাসের অগ্রগতি পর্যালোচনায় প্রকল্প বাস্তবায়নে গতি থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজে সরাসরি সংশ্লিষ্ট এবং জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেজাউল করিম বলেন, ‘চট্টগ্রামে ১৯৮৩ সালে একদিনে সর্বোচ্চ ৫১৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। সেটাকে ভিত্তি ধরে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় থাকা ৩৬টি খালের মধ্যে চাক্তাই খাল সিস্টেমে ২১টি এবং মহেশখাল সিস্টেমে ৯টি খাল যুক্ত। এর বাইরে আছে ছয়টি খাল। ইতোমধ্যে এক কোটি ১৪ লাখ ঘনফুট ময়লা মাটি অপসারণ করা হয়েছে বিভিন্ন খাল থেকে। প্রকল্পের অধীনে নেভিগেশন ব্যবস্থাসহ স্লুইচ গেট নির্মাণ এবং কিছু রেগুলেটর নির্মাণ করা হবে, যা চট্টগ্রামে শুধু নয় বাংলাদেশেই প্রথম উদ্যোগ। নগরীর মহেশখালেও এমন একটি রেগুলেটর স্থাপন করা হবে।’

২০১৯ সালের ২০ জুনের মধ্যে এই মেগা প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে আশা সেনাবাহিনীর এই কর্মকর্তা আশা প্রকাশ করেন।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ সালাম বলেন, ‘জলাবদ্ধতা সমস্যা চট্টগ্রামের দীর্ঘদিনের সমস্যা। জলাবদ্ধতা নিয়ে এখন আর আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আমরা যে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে হাত দিয়েছি প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে আগামী ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে নগরবাসী এর সুফল ভোগ করবে। প্রকল্পের মাত্র ১০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন সম্পন্ন হবে। এখন পর্যন্ত প্রকল্পের যে ১০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে এর সুফলও নগরবাসী পেতে শুরু করেছে। বর্ষা মৌসুমে খাল খনন ও পরিস্কার অনেক কঠিন একটা কাজ। কিন্তু সেনাবাহিনী দুঃসাহসিকতার সাথে এই কাজ করে যাচ্ছে বিরতিহীনভাবে।’

জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকল মহলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন সিডিএ চেয়ারম্যান।

 

 

 

রাইজিংবিডি/চট্টগ্রাম/১৪ আগস্ট ২০১৮/রেজাউল/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়