ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

১৯১তম ঈদ জামাতের জন্য প্রস্তুত শোলাকিয়া

রুমন চক্রবর্তী || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:১৯, ২০ আগস্ট ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
১৯১তম ঈদ জামাতের জন্য প্রস্তুত শোলাকিয়া

কিশোরগঞ্জ সংবাদদাতা: আশা করা হচ্ছে, এবারও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে দেশের সবচেয়ে বড় ঈদুল আজহার জামাত। তাই নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে চলছে ঈদ জামাতের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯ টায়। জামাতে ইমামতি করবেন মার্কাস মসজিদের ইমাম মাওলানা হিফজুর রহমান। এটি হবে শোলাকিয়ার ১৯১তম ঈদুল আজহার জামাত।

দেশের সবচেয়ে বড় শোলাকিয়ার এই ঈদের জামাত সফল করতে স্থানীয় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও পৌরসভা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে মাঠে দাগ কাটা, বালু ফালানোসহ শোলাকিয়া মাঠকে জামাতের উপযোগী করার কাজ শেষ হয়েছে। সংস্কার করা হয়েছে ওজুখানা এবং টয়লেট। চলছে শহরের শোভাবর্ধনের কাজও। প্রস্তুত রাখা হয়েছে বহুসংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক ও কয়েকটি মেডিক্যাল টিম। দূর-দূরান্তের মুসুল্লিদের যাতায়াতের জন্য শোলাকিয়া স্পেশাল নামে দুটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থাও করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।

জেলা প্রশাসক ও শোলাকিয়া ঈদগাহ কমিটি’র সভাপতি মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী প্রস্তুতি কর্মকান্ডে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বরাবরের মত এবারো সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে জামাত অনুষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী বলেন, ‘ইতিমধ্যে মাঠকে জামাতের উপযোগী করতে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছে শোলাকিয়া ঈদগাহ কমিটি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে উৎসবমুখর পরিবেশে জামাত অনুষ্ঠিত হবে।’

পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ জানান- দুই প্লাটুন বিজিবি, বিপুল সংখ্যক পুলিশ, এপিবিএন, র‌্যাব, আনসার সদস্যের সমন্বয়ে নিশ্ছিদ্র ও কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের পাশাপাশি মাঠে সাদা পোষাকে নজরদারি করবে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। এছাড়াও শহরসহ মাঠের প্রবেশ পথগুলোতে থাকছে সিসি ক্যামেরা ও ওয়াচ টাওয়ার। নামাজ শুরুর আগে পুরো মাঠ তল্লাশি করা হবে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে। নজরদারিতে ব্যবহার করা হবে ড্রোন ক্যামেরা। থাকবে পাঁচটি আর্চওয়ে। তাছাড়া শোলাকিয়া মাঠ ও শহরের যত অলিগলি আছে, সবখানে বসানো হবে নিরাপত্তা চৌকি।

রেওয়াজ অনুযায়ী, জামাত শুরুর আগে শর্টগানের ৬টি ফাঁকা গুলি ছোড়া হবে। জামাত শুরুর ৫ মিনিট আগে ৩টি, ৩ মিনিট আগে ২টি, এবং ১ মিনিট আগে ১টি গুলি ছুড়ে জামাত শুরুর সঙ্কেত দেওয়া হবে।

জনশ্রুতি আছে, ১৮২৮ সালে এই মাঠে ঈদের জামাতে সোয়া লাখ মুসল্লি এক সাথে নামাজ আদায় করেছিলেন। সেই থেকে এ মাঠের নাম হয় ‘সোয়া লাখিয়া’। যা এখন শোলাকিয়া নামেই পরিচিত।




রাইজিংবিডি/কিশোরগঞ্জ/২০ আগস্ট ২০১৮ /রুমন চক্রবর্তী/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়