ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

অল্পের জন্য রক্ষা পেল ইউএস-বাংলার ১৭১ আরোহী

রেজাউল করিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৫৫, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
অল্পের জন্য রক্ষা পেল ইউএস-বাংলার ১৭১ আরোহী

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম : অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন বেসরকারি বিমান কর্তৃপক্ষ ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটের ১৭১ আরোহী।

বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১৭১ জন আরোহী নিয়ে কক্সবাজারের পথে রওনা হওয়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে চট্টগ্রামে জরুরি অবতরণ করেছে। অবতরণকালে বিমানটির সামনের অংশ মুখ থুবরে পড়ে।

এই ঘটনায় বিমানে থাকা কমপক্ষে ১০ যাত্রী হাত-পা কেটে গিয়ে আহত হয়েছেন।

বিমানে থাকা কয়েকজন যাত্রী রাইজিংবিডিকে জানান, আকস্মিকভাবেই বিমানটি আকাশে অস্বাভাবিকভাবে উড়তে থাকে। এক পর্যায়ে দ্রুত গতিতে বিমানটি চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমে আসে। এতে বিমানের সামনের অংশ বিমানবন্দরের রানওয়েতে মুখ থুবরে পড়ে যায়। বিমানের সামনের অংশ দেবে যায়।
 


দুর্ঘটনার বিষয়ে ইউএস বাংলার মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) কামরুল ইসলাম জানান, কক্সবাজারে নামতে না পেরে বিমানটি চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়েছে। তবে বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটির বিস্তারিত কারণ এখনই বলা যাচ্ছে না।

তিনি জানান, বিমানটিতে ১৭১ আরোহী ছিল। এর মধ্যে দুইজন পাইলট, পাঁচজন ক্রু এবং ১৬৪ যাত্রী, যার মধ্যে ১১ জন শিশু।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ম্যানেজার উইং কমান্ডার সারোয়ার ই জাহান জানান, বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজটির নোজ গিয়ার (সামনের চাকা) নামছিল না। এ কারণে কক্সবাজারে নামতে না পেরে চট্টগ্রামে আসে। নোজ গিয়ার না নামিয়েই এখানে নিরাপদে ল্যান্ড করেছে।
 


চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস বাংলার ফ্লাইটের জরুরি অবতরণ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস বিভাগের উপসহকারী পরিচালক জসিম উদ্দিন রাইজিংবিডিকে জানান, কক্সবাজারগামী ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইট বিএস ১৪১ চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করবে, এমন সংবাদ পেয়ে বিমানবন্দরে অবস্থান নেয় ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিটের ছয়টি গাড়ি। দুপুর সোয়া ১টার দিকে বিমানটি রানওয়েতে নামলে এর সামনের অংশ দেবে যায়। তবে কোনো আগুন লাগার ঘটনা ঘটেনি। এর ফলে কয়েকজন যাত্রী আংশিক আহত হলেও কোনো বড় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

উল্লেখ্য, নোজ গিয়ার না নামলে বিমান অবতরণ ব্যাপক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এতে বড় দুর্ঘটনায় প্রাণহানির আশঙ্কা থাকে।

 

 

রাইজিংবিডি/চট্টগ্রাম/২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮/রেজাউল করিম/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়