কবিরহাটে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত ৩০

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় নির্বাচনী অফিস ও কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করা হয়।

মঙ্গলবার কবিরহাট বাজারের বিভিন্ন স্থানে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সকালে কবিরহাট বাজারের জিরো পয়েন্টে নোয়াখালী-৫ আসনের বিএনপি প্রার্থী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের পথসভা করার কথা ছিল। সকাল থেকে ওই স্থানে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে একত্রিত হতে থাকে। বেলা ১১টার দিকে ঘোষবাগ থেকে বিএনপির মিছিল আসার সময় কবিরহাট দক্ষিণ বাজারে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীকালে এই সংঘর্ষ পুরো বাজারে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করে সংঘর্ষকারীরা।

কবিরহাট পৌরসভা বিএনপির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মঞ্জু অভিযোগ করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিএনপির শান্তিপূর্ণ মিছিলে অর্তকিত হামলা চালায়। পরবর্তীকালে হামলাকারীরা আমার বাড়ি, বিএনপির নির্বাচনী অফিস ও বিভিন্ন দোকানে ভাঙচুর করে। আওয়ামী লীগের হামলায় কবিরহাট উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামরুল হুদা চৌধুরী লিটন, জাসাসের সভাপতি আবদুস সাত্তার, নরোত্তমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশিদ, কবিরহাট পৌর যুবদলের সহসভাপতি আলাউদ্দিন ও প্রবাসীবিষয়ক সম্পাদক গোলাম মোমিত ফয়সলসহ অন্তত ২০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।’

তিনি অভিযোগ করেন, সকালে পথসভায় আসার পথে উপজেলার ভূঁইয়ারহাট, শাহজীরহাট, কাচারিরহাট, কালামুন্সী বাজার, ব্যাপারীরহাটসহ বিভিন্ন স্থানে বিএনপির মিছিলেও হামলা করা হয়।
 

বিএনপির অভিযোগ অস্বীকার করে কবিরহাট উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ‘সকালে কবিরহাট দক্ষিণ বাজারের নবারুণ একাডেমির সামনে বিএনপির মিছিল থেকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল, ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ইসমাইলসহ আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের ওপর অর্তকিত হামলা চালানো হয়।’

বিএনপির হামলায় জলিল, ইসমাইলসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অন্তত ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ইসমাইলকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কবিরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির্জা মোহাম্মদ হাছান জানান, পরিস্থিতি বর্তমানে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সকল ধরনের সহিংসতা এড়াতে বাজারে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।




রাইজিংবিডি/নোয়াখালী/১১ ডিসেম্বর ২০১৮/মাওলা সুজন/সাইফুল