ঢাকা     বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৪ ১৪৩১

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মামলায় ফের খালেদার জামিন আবেদন

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:৩৯, ১৪ মার্চ ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মামলায় ফের খালেদার জামিন আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক : ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও জাতিগত বিভেদ সৃষ্টির অভিযোগের মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিনের জন্য ফের আবেদন করেছেন তার আইনজীবী।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম জিয়াউর রহমানের আদালতে জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার।

গত ২০ জানুয়ারি মামলাটিতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন একই আদালত।

এদিন জামিন শুনানিতে মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, খালেদা জিয়া কোনো অপরাধ করেননি। রাজনৈতিকভাবে তাকে হয়রানি করতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। যে মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন, আমরা আশা করছি, অতি দ্রুত তিনি জামিন পেয়ে কারামুক্ত হবেন।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে, সে অভিযোগে বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি মামলা করতে পারবেন। বাদী সরকারি সংস্থার কেউ না। তিনি তৃতীয় ব্যক্তি। আমরা আপনার আদালতে এ মামলায় তার জামিন প্রার্থনা করছি।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ জামিনের বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া জাতীয় অপরাধ করেছেন। জাতি, রাষ্ট্র, শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে তিনি ভুল তথ্য উপস্থাপন করেছেন। বাংলাদেশের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে যার যার ধর্ম পালন করছে। আওয়ামী লীগ সরকার কোনো ধর্মীয় গোষ্ঠীকে ধ্বংস করে নাই। মামলাটি জামিনঅযোগ্য ধারায়। আমরা তার জামিনের বিরোধিতা করছি।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আদেশ পরে দেবেন বলে জানান।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি একই আদালতে খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী। পরর দিন খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদনপ্রাপ্তি সাপেক্ষে জামিন শুনানির আদেশ দেন আদালত।

২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী এ মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, খালেদা জিয়া ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর বিকেলে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে (আইইবি) শুভ বিজয়া অনুষ্ঠানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ পরে আছে। আসলে দলটি ধর্মহীনতায় বিশ্বাসী। আওয়ামী লীগের কাছে কোনো ধর্মের মানুষ নিরাপদ নয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে হিন্দুদের সম্পত্তি দখল করেছে। হিন্দুদের ওপর হামলা করেছে।’

মামলায় বলা হয়, খালেদা জিয়ার এসব বক্তব্য যেমন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে, তেমনি হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে শ্রেণিগত বিভেদও সৃষ্টি করেছে। যা দণ্ডবিধির ১৫৩(ক) ও ২৯৫(ক) ধারার অপরাধ।

মামলাটিতে গত বছর ৩০ জুন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার ওসি (তদন্ত) জাফর আলী বিশ্বাস। প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, খালেদা জিয়া ২০১৪ সালের ১০ অক্টোবর বিকেল আনুমানিক ৫টার দিকে প্রকাশ্যে তার বক্তব্যের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার জনগণ ও বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী জনগোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা বা ঘৃণার ভাব সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে তিনি নাগরিকদের ধর্মীয় অনুভূতিতে কঠোর আঘাত আনার অভিপ্রায় ইচ্ছাকৃত ও বিদ্বেষাত্মকভাবে ধর্ম ও ধর্মীয় বিশ্বাসকে অবমাননা করেছেন।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ মার্চ ২০১৯/মামুন খান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়