আমানুরের এক মামলায় জামিন, আরেকটিতে স্থগিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : দুই যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের প্রাক্তন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে দেওয়া হাইকোর্টের জামিন চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান এ আদেশ দেন।
এদিকে, আজই মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় আমানুর রহমান খান রানাকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আমানুর রহমান খান রানার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মো. মাহমুদুল করিম রতন।
এক মামলায় জামিন স্থগিত হওয়ায় আমানুর রহমান খান রানার কারামুক্তি আটকে গেল বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।
২০১৩ সালের জানুয়ারিতে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজ পাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করেন। আমানুর রহমান খান রানা বর্তমানে কারাগারে আছেন।
অপরদিকে, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা শামীম ও মামুন ২০১২ সালের ১৬ জুলাই তাদের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে টাঙ্গাইল শহরে এসে নিখোঁজ হন। পরের দিন শামীমের মা আছিয়া খাতুন সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এক বছর পর ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা করেন। পরে তদন্ত করে পুলিশ ওই বছর ২১ সেপ্টেম্বর মামলাটি তালিকাভুক্ত করে। ওই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া শহরের বিশ্বাস বেতকা এলাকার খন্দকার জাহিদ, শাহাদত হোসেন ও হিরণ মিয়া হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তারা আমানুর রহমান খান দিকনির্দেশনায় যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুনকে হত্যা করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করেন।
গত ৬ মার্চ এ মামলায় রানাকে জামিন দিয়েছিল হাইকোর্ট। পরে এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ মার্চ ২০১৯/মেহেদী/রফিক
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন