সুপার লিগের প্রথম সেঞ্চুরি নাঈমের ব্যাটে
ক্রীড়া প্রতিবেদক: বিকেএসপিতে সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে গিয়েছিলেন মুমিনুল হক। ঢাকায় ওয়াসিম জাফরও ছিলেন একই পথে। ফতুল্লায় ঝড় তুলেছিলেন আরিফুল হক। কিন্তু তারা কেউই পাননি তিন অঙ্কের স্বাদ।
মুমিনুলের সতীর্থ নাঈম ইসলামের ব্যাটে এলো ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সুপার লিগের প্রথম সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরি দিয়ে নতুন বর্ষ শুরু করলেন ৩২ বছর বয়সি এ ক্রিকেটার। চলমান লিগে যা তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।
বিকেএসপিতে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ১০৮ বলে ১০৮ রানের নজরকাড়া ইনিংস উপহার দিয়েছেন লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের অধিনায়ক। ৪ চার ও ৩ ছক্কায় সাজান ইনিংসটি। এ সেঞ্চুরি দিয়ে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে সেঞ্চুরির দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন নাঈম। পাশাপাশি ৬ হাজার রানের মাইলফলকও পেরিয়েছেন।
মোহাম্মদ আশরাফুলের বলে মোহাম্মদ নাঈম (২৬) সাজঘরে ফিরলে ব্যাটিংয়ে আসেন নাঈম ইসলাম। আগের থেকেই ক্রিজে ছিলেন মুমিনুল হক। তৃতীয় উইকেটে এ দুই ব্যাটসম্যান গড়েন ১০৭ রানের জুটি। ২২ গজে দাপটের সঙ্গে ব্যাট চালান মুমিনুল। আর নাঈম তাকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন দারুণ। ৮৮ বলে মুমিনুল ৭৮ রান করে আশরাফুলের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন। অন্যপ্রান্তে থাকা নাঈম ততক্ষণে ৬২ বলে পেয়ে যান হাফ সেঞ্চুরি।
চতুর্থ উইকেটে নাঈমের সঙ্গী শাহরিয়ার নাফিস। ব্যাট হাতে দ্যুতি ছড়ান নাফিস। ৬১ বলে ৬৮ রান করেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। দুজনের জুটিতে আসে ১২১ রান। নাঈম ধীরে ধীরে এগিয়ে যান সেঞ্চুরির পথে। ৪৯তম ওভারে রাজত ভাটিয়ার বলে এক রান নিয়ে ৯৯ থেকে শতরানে পৌঁছান এ ব্যাটসম্যান। হাফ সেঞ্চুরি থেকে সেঞ্চুরিতে পৌঁছান ৪৩ বলে। ইনিংসের শেষ বলে কাজী অনিককে ছক্কা মেরে নাঈম দলকে দেন ৩১৩ রানের পুঁজি।
ঢাকায় প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে আবাহনী লিমিটেডের ওয়াসিম জাফর ৭১ ও নাজমুল হোসেন শান্ত ৭০ রান করেন। আবাহনী আগে ব্যাটিং করে পেয়েছে ২৫১ রানের পুঁজি। ফতুল্লায় প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে জ্বলে উঠেন আরিফুল। ৫১ বলে করেন ৭৪ রান। ২ চার ও ৭ ছক্কা হাঁকান এ ব্যাটসম্যান। শেখ জামালের লক্ষ্য মাত্র ২৩৭ রান।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ এপ্রিল ২০১৯/ইয়াসিন
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন