ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ভিকারুননিসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষসহ ২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৫৯, ৩০ এপ্রিল ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ভিকারুননিসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষসহ ২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীকে আত্মহত্যায় প্ররোচণা দেওয়ার মামলায় প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখাপ্রধান জিন্নাত আরার বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী এ চার্জশিট গ্রহণ করেন। আর শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনাকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।

এদিন মামলাটি চার্জশিট গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। মামলার বাদী অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী এদিন আদালতে হাজির হন। চার্জশিটের বিষয়ে তার কোন অভিযোগ নেই বলে তিনি আদালতকে জানান। এরপর আদালত চার্জশিট গ্রহণ করেন।

এদিকে মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) জাহিদুল কবীর বরাবর নথিটি প্রেরণের আদেশ দেন আদালত। সিএমএম নথিটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলীর আদেশ দিবেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।

গত ২০ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার ওই দুই আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনার অব্যাহতির আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আসামিদের নির্দয় ব্যবহার ও অশিক্ষকসুলভ আচরণে অরিত্রী অধিকারী আত্মহত্যায় প্ররোচিত হয় বলে চার্জশিটে উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, অরিত্রী অধিকারী (১৪) নাবালক (শিশু) হওয়ায় মামলার চার্জশিটটি দণ্ডবিধির ৩০৫ ধারায় দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা। ওই ধারায় কোন শিশুকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা ১০ বছর কারাদণ্ডসহ অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে।

অরিত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানায় তার বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে গত ৪ ডিসেম্বর রাতে দণ্ডবিধির ৩০৫ ধারায় মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়। মামলা দায়েরের পর ৫ নভেম্বর শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরের দিন আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ৯ ডিসেম্বর জামিন পান হাসনা হেনা। ১৪ জানুয়ারি নাজনীন ফেরদৌস ও জিন্নাত আরা আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন।

অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী মামলায় অভিযোগ করেন, গত ৩ ডিসেম্বর পরীক্ষা চলাকালে অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান শিক্ষক। মোবাইল ফোনে নকল করেছে, এমন অভিযোগে অরিত্রীকে পরদিন তার মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। তিনি স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ওই দিন স্কুলে গেলে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। মেয়ের টিসি নিয়ে যেতে বলেন। পরে প্রিন্সিপালের কক্ষে গেলে তিনিও একই রকম আচরণ করেন। এ সময় অরিত্রী দ্রুত প্রিন্সিপালের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে শান্তিনগরে বাসায় গিয়ে তিনি দেখেন, অরিত্রী তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩০ এপ্রিল ২০১৯/মামুন খান/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়