ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

সাদ্দাম হত্যার প্রতিবাদে রাজপথে তারকারা

আমিনুল ইসলাম শান্ত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ১৩ জুন ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সাদ্দাম হত্যার প্রতিবাদে রাজপথে তারকারা

বিনোদন ডেস্ক: শুটিং বয় সাদ্দাম হোসেন ‘হত্যা’র প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে টেলিভিশন পরিচালকদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ড, অভিনয় শিল্পী সংঘ, নাট্যকার সংঘ, টেলিভিশন মিডিয়া প্রোডাকশন ম্যানেজার অ্যাসোসিয়েশন, প্রোডিউসার অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ। গতকাল বুধবার বিকেলে নগরীর উত্তরার রাজলক্ষ্মী মোড়ে এই মানববন্ধন করেন তারা।

এতে অংশ নেন ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি সালাহউদ্দিন লাভলু, সাধারণ সম্পাদক এস এ হক অলিক, অভিনেতা শহীদুজ্জামান সেলিম, কচি খন্দকার, চঞ্চল চৌধুরী, মোশাররফ করিম, জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর, সাজু খাদেম, সাজু মুনতাসির, মনিরা মিঠু, তানিয়া আহমেদ, রুনা খান, কাজী রোজি, শাহনাজ খুশি, বৃন্দাবন দাস, রওনক হাসান, সনি রহমান, নির্মাতা মুস্তাফা কামাল রাজ, শিহাব শাহীনসহ সাদ্দাম হোসেনের পরিবারের সদস্যরা।

ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি সালাহউদ্দিন লাভলু বলেন, ‌‌‘নাটকের স্বার্থে দীর্ঘদিন যারা আমাদেরকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে তেমনই একজন সাদ্দাম। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে, এটি সহ্য করার নয়। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে নিষ্ঠুরভাবে তাকে হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হলো। আমাদের মিডিয়ার প্রত্যেকটি সংগঠনের প্রত্যেকটি সদস্য এখানে এ হত্যার বিচারের দাবিতে দাঁড়িয়েছি। সরকারের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।’

এ সময় উপস্থিত শিল্পীরা জানান, সাদ্দাম হোসেন শুটিং সহকারী হিসেবে কাজ করত। ঈদের আগে গ্রামের বাড়ি বরিশালে যাওয়ার পথে লঞ্চ থেকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছে। কিন্তু পরদিন তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরিবারের অভিযোগ, ‘ফারহান-১০’ নামে একটি লঞ্চে করে বাড়ি ফিরছিল সাদ্দাম। এ সময় লঞ্চের কর্মচারীদের সঙ্গে ঝগড়া হলে সাদ্দামকে মেরে নদীতে ভাসিয়ে দেয় তারা। এই বিষয়টি তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান শিল্পীরা।



এর আগে সাদ্দামের ভগ্নিপতি মো. মাইনুল সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘লঞ্চে বসে সাদ্দাম আমাকে ফোন করে জানায়— সে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছে। অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের সঙ্গে তার হাতাহাতি হয়। মোবাইল ফোনে এ খবর পেয়ে সাদ্দামকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য বানারীপাড়ার মীরেরহাট লঞ্চঘাটে অপেক্ষা করি। কিন্তু সাদ্দাম আসেনি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। রোববার (২ জুন) কেদারপুর গ্রামের স্থানীয় লোকজন নদীতে মরদেহ ভাসতে দেখে বাবুগঞ্জ থানায় খবর দেয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে আমরা সাদ্দামের মরদেহ শনাক্ত করি।’

মৃত সাদ্দাম হোসেন বরিশালের উজিরপুর উপজেলার ওটরা গ্রামের মো. শাহজাহান ব্যাপারীর ছেলে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ জুন ২০১৯/শান্ত/মারুফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়