ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

কুষ্টিয়ার দিগন্তজুড়ে পাট আর পাট

কাঞ্চন কুমার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:১০, ৮ জুন ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কুষ্টিয়ার দিগন্তজুড়ে পাট আর পাট

দৌলতপুর উপজেলায় বিস্তৃত মাঠজুড়ে পাটের আবাদ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ায় পাটজাত পণ্যের ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। কুষ্টিয়ার দিগন্তজুড়ে এখন পাটের আবাদ। অর্থকরী ফসল হিসাবে পাট এখানে একটি অধিক লাভজনক ফসল। আর কুষ্টিয়ার ফসলী জমির দিকে তাকালে এখন চোখে পড়ছে পাট আর পাট।

কুষ্টিয়া জেলা পাট অধিদপ্তরের মুখ্য পাট পরিদর্শক সোহরাব উদ্দিন বিশ্বাস জানান, বিগত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কুষ্টিয়ায় ব্যাপক হারে পাট চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। গতবছর কুষ্টিয়া জেলার ৬টি উপজেলায় মোট ৯১,২৯৪ একর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছিলো। উৎপাদন হয়েছিলো ৪,৫৬,৪৭০ বেল পাট।

বিগত বছরের তুলনায় জেলায় এ বছর প্রায় শতকরা ১৫-২০ ভাগ পাট চাষ বেড়েছে। এ বছর কুষ্টিয়ার ৬ উপজেলায় মোট ১,০৩,৭৬৪ একর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫,১৮,৮২০ বেল পাট।

এর মধ্যে কুষ্টিয়ার সদর উপজেলায় ৬,৪৪৬ একর, মিরপুর উপজেলায় ২১,৭৩৬ একর, ভেড়ামারা উপজেলায় ১০,৮৬৮ একর, কুমারখালী উপজেলায় ১৩,৩৩৮ একর, খোকসা উপজেলায় ৯,৩৮৬ একর এবং দৌলতপুর উপজেলায় ৪১,৯৯০ একর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে।

আশার খবর হচ্ছে, পাটের দাম ও ফলন ভালো হওয়ায় এখানের চাষিরা দিন দিন পাট চাষের আগ্রহী হয়ে উঠছে। এবারও পাটের দাম বিগত বছরের তুলনায় ভাল। গতবছর পাটের বাজার মূল্য ছিলো ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকা। আর এবার ২৩০০ টাকা থেকে ২৪০০ টাকা।

সোহরাব উদ্দিন বিশ্বাস জানান, পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ ও বিধিমালা ২০১৩ বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে সারাদেশের মতো এ জেলায়ও অভিযান অব্যহত রয়েছে। এজন্য পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাড়ছে। ফলে পাট চাষ দিনদিন বাড়ছে।

দৌলতপুর উপজেলার পাট চাষি নাহার আলী বলেন, ‘গতবছর আমি ৫ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছিলাম। গতবছর আমি বিঘাপ্রতি ৯ মন করে পাট পেয়েছিলাম। বাজারে বিক্রি করেছি ২০০০ টাকা দরে। এ থেকে আমি প্রায় ৯০ হাজার টাকা পেয়েছিলাম। সেই সঙ্গে সেখান থেকে আমি প্রায় ২০-২২ মন পাটকাঠি পেয়েছিলাম। সেগুলো বিক্রি করেছি ২০০ টাকা মন দরে।

নাহার আলী বলেন, ‘গত বছরে ৫ বিঘা জমিতে পাট চাষ করে আমি প্রায় ৯৫ হাজার টাকা পেয়েছিলাম। আর এবার পাটের বাজার দাম ভালো। এবার আমি ৭ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। এবারও ভালো ফলন পাবো বলে আমি মনে করি।’

আলাপকালে মিরপুর উপজেলার আমলা গ্রামের পাট চাষি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি এবার ৩ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। এ বছর পাটের রোগবালাই নেই বললেই চলে। আর পাটও বেশ ভালো হয়েছে। আশা করছি ভালো ফলন পাবো।’


রাইজিংবিডি/কুষ্টিয়া/৮ জুন ২০১৬/কাঞ্চন কুমার/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়