ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

স্বল্পমেয়াদি কৃষি ঋণ

আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত লাগবে না সিআইবি রিপোর্ট

এমএন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:০৪, ৩১ জুলাই ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত লাগবে না সিআইবি রিপোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক : শস্য/ফসল চাষের জন্য সর্বোচ্চ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত স্বল্পমেয়াদি কৃষি ঋণের ক্ষেত্রে সিআইবি রিপোর্টিং ও সিআইবি ইনকোয়্যারির প্রয়োজন পড়বে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।

 

রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সভাকক্ষে চলতি অর্থবছরের জন্য নতুন কৃষি নীতিমালা ঘোষণাকালে এ কথা জানান তিনি।

 

এবার নীতিমালার আওতায় মোট ঋণের পরিমাণ ধরা হয়েছে ১৭ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা, যা বিগত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৭.০১ শতাংশ বেশি। টাকার মানে ১ হাজার ১৫০ কোটি টাকার বেশি।

 

কৃষি ও পল্লি ঋণের ক্রমবর্ধমান চাহিদা বিবেচনায় চলতি অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকসমূহের জন্য ৯ হাজার ২৯০ কোটি টাকা এবং বেসরকারি ও বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকসমুহের জন্য ৮ হাজার ২৬০ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিগত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ব্যাংকসমূহ মোট ১৭ হাজার ৬৪৬ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লি ঋণ বিতরণ করা হয়েছে, যা মোট লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ১০৮ শতাংশ।

 

গত বছরের নীতিমালার সঙ্গে এবারের নীতিমালায় নতুন সংযোজন হয়েছে পেয়ারা চাষ। ফলে নতুন এ নীতিমালা অনুসারে আম, লিচুর পাশাপাশি পেয়ারা উৎপাদনের জন্য সারাবছর ঋণ পাবেন কৃষকরা।

 

এ ছাড়াও ঋণ পাবেন ড্রাগন ফ্রুট চাষিরাও। পাম চাষে বাংলাদেশের সম্ভবনা বিবেচনা করে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পাম চাষে কৃষকদের আগ্রহী করতে এ বিষয়টিকেও কৃষি ঋণ নীতিমালায় রাখা হয়েছে।

 

এ ছাড়াও এই নীতিমালায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে পাট চাষকেও। প্রণীত নীতিমালায় ডাল, তেলবীজ, মসলা এবং ভুট্টার উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য এবারো রেয়াতি হার সুদে ঋণ দেওয়ার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মধু চাষসহ অনগ্রসর খাতসমূহকে অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া ফসলি জমিতে সেচ ব্যবস্থার উন্নয়নেও ঋণ দেওয়া হবে।

 

কৃষি ও পল্লি ঋণের ক্রমবর্ধমান চাহিদার কথা বিবেচনা করে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক, বিশেষায়িত, বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকসমূহ কর্তৃক তাদের স্বনির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার ভিত্তিতে ৫৫টি ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই তহবিল থেকে ঋণ গ্রহণ করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে সরকারি ব্যংকগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এবারো একজন কৃষক সর্বোচ্চ ৫ একর জমি চাষাবাদের জন্য নির্ধারিত হারে ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন।

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩১ জুলাই ২০১৬/এমএন/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়