ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ৬ ১৪৩০

আনক্লসের রায় বাংলাদেশের সমৃদ্ধির পথে নতুন যুগের সূচনা : প্রধানমন্ত্রী

|| রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৪৫, ১০ ডিসেম্বর ২০১২   আপডেট: ০৮:৪৫, ১১ আগস্ট ২০২০
আনক্লসের রায় বাংলাদেশের সমৃদ্ধির পথে নতুন যুগের সূচনা : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমুদ্র সম্পর্কিত আইনী প্রতিষ্ঠানের কনভেনশনের (আনক্লস) জন্য জাতিসংঘকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, মায়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির রায়ের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের সমৃদ্ধির জন্য নতুন যুগের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। প্রধানমন্ত্রী আজ ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আনক্লসের ৩০তম বার্ষিকী উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক স্মারক অনুষ্ঠানে ভাষণকালে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, সমুদ্র সম্পর্কিত বিধি বিধান সাগর এবং এর সম্পদ ভাগাভাগিতে মৌলিক আইন ও ভিত্তি প্রতিষ্ঠায় দেশগুলোকে সহায়তা করছে।

আনক্লসে মায়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ শান্তিপূর্ণভাবে নিষ্পত্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই রায় সমুদ্রের প্রচুর সম্পদ উত্তোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনেতিক অগ্রগতির ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি করেছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব খুরশিদ আলম, বাংলাদেশ ল’ কমিশনের চেয়ারম্যান শাহ আলম, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান প্রফেসর এম হোসেইন মনসুর, জাতিসংঘের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ নেইল ওয়াকার এবং পররাষট্র মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোস্তফা কামাল অন্যান্যের মধ্যে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

২০০৮ সালের নির্বাচনে তাঁর দলের বিজয়ের জন্য বাংলাদেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন না হলে এবং বিষয়টির শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তির জন্য আনক্লসে উত্থাপিত না করলে এদেশ কখনো সমুদ্র সীমার ওপর অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারতো না। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিবেশী মায়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্র সীমার শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তির জন্য টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড ম্যারিটাইম জোনস অ্যাক্ট-১৯৭৪ প্রণয়ন করেছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালে তাঁর হত্যাকাণ্ড-পরবর্তী সরকারগুলো এই প্রক্রিয়া এগিয়ে নেয়নি।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘ ’৮০-এর দশকে এ ধরনের কনভেনশনের কথা চিন্তা করেছিল এবং ১৯৮২ সালে আনক্লসে গৃহীত হয়। কিন্তু বাংলাদেশে ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো সরকার এতে অনুসমর্থনের উদ্যোগ নেয়নি। এর বিধান অনুযায়ী বাংলাদেশ ১০ বছরের মধ্যে সমুদ্র সীমার দাবী সম্পর্কিত ইস্যু জাতিসংঘে উত্থাপনের প্রয়োজন বোধ করে। কিন্তু পরবর্তী বিএনপি সরকার এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তিনি বলেন, ‘আ­ল্লাহর রহমতে জনগণ আবারো আমাদেরকে নির্বাচিত করায় আনক্লসে দীর্ঘ আইনী লড়াইয়ের পর আমরা সমুদ্রসীমা বিরোধে জয়ী হই। এতে আমাদের জনগণের সমৃদ্ধির নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়।

 

 

 

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়