ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

পদ্মা সেতু দুর্নীতি

দুদকের মামলায় হাসান-হোসেন বাদ

সেন্ট্রাল ডেস্ক: || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:০৬, ১৮ ডিসেম্বর ২০১২   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দুদকের মামলায় হাসান-হোসেন বাদ

ঢাকা, ১৭ ডিসেম্বর (রাইজিংবিডি টোয়েন্টিফোর ডটকম) : পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির  ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সোমবার বিকালে রাজধানীর বনানী থানায় ৩ বিদেশিসহ ৭  জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলা লম্বর ১৯।

প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য প্রমাণাদি না পাওয়ায় সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ও এসএনসি লাভালিনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরীকে এ মামলায় আসামি না করে সন্দেহভাজন হিসাবে তালিকায় তাদের নাম রাখা হয়েছে।

মামলার বাদী দুদকের উপ-পরিচালক আবদুল্লাহ আল-জাহিদ সাংবাদিকদের জানান, আমরা এখনো সৈয়দ আবুল হোসেন ও আবুল হাসান চৌধুরীকে আসামী করার মতো কোনো তথ্য উপাত্ত পাইনি। তবে মামলার তদন্তে আরো কিছু উল্লেখযোগ্য নথি সংগ্রহ করা হবে। এর মধ্যে কানাডার আদালতের কাছে থাকা ডায়েরির একটি কপি সংগ্রহের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। ডায়েরিটি পাওয়া গেলে আরো অনেকের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হবে। পাশাপাশি জানা যাবে লাভালিনের কাছ থেকে পরামর্শক নিয়োগের জন্য কত শতাংশ টাকা চাওয়া হয়েছিল।

মামলায় বিদেশি তিন আসামী হলেন এসএনসি লাভালিনের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ ইসমাইল, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট রমেশ শাহ, এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কেভিন ওয়ালেস। অন্য আসামিরা হলেন এসএনসি লাভালিনের স্থানীয় প্রতিনিধি মোহাম্মদ মোস্তফা, সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, সেতু বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী মোহাম্মদ ফেরদৌস, সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী রিয়াজ আহমেদ জাবের।

বাদী দুদকের উপ-পরিচালক আবদুল্লাহ আল-জাহিদ জানান, বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে আমাদের কোনো  দূরত্ব নেই। তারা ও আমরা চাই ব্রিজ হোক। তাদের সহায়তায় এটি করা সম্ভব হবে। এ মামলা করা বা কাউকে ছাড় দেওয়ার বিষয়ে দুদকের উপর কারো কোনও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ চাপ ছিল না।
বিশ্ব ব্যাংকের কাছ থেকেই দুদক জেনেছে যে, এসএনসি লাভালিনের  সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট রমেশ শাহের ডায়েরিতে পার্সেন্টেজের বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে দুদকের কাছে কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই।

মামলার এজাহারে আরো বলা হয়েছে, পদ্মাসেতু প্রকল্পের নির্মাণ কাজের তদারকি পরামর্শক নিয়োগে অন্যতম দরদাতা এসএনসি লাভালিন ইন্টারন্যাশনালকে কার্যাদেশ পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে উল্লেখিত  এসব আসামি দন্ডবিধির ১৬১ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অপরাধ করার অভিপ্রায়ে ষড়যন্ত্র করেন। যা দন্ডবিধির ১২০(বি) ধারা মোতাবেক শাস্তিযোগ্য অপরাধ। 

উল্লেখ্য, গত ২৯ জুন পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে বিশ্বব্যাংক ১২০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি বাতিল করে। পরে সরকার অভিযোগ অনুসন্ধানে বিশ্বব্যাংক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি সই করার পর বিশ্বব্যাংক গত ২০ সেপ্টেম্বর শর্তসাপেক্ষে অর্থায়নে ফিরে আসার ঘোষণা দেয়। পদ্মায় দুর্নীতি নিয়ে অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনকে সহায়তা করার জন্য বিশ্বব্যাংক গঠিত তিন সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল ইতোমধ্যেই দু’দফা ঢাকা সফর করে গেছেন।

 

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়