ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

শীত আর কুয়াশায় বিপর্যস্ত উত্তর জনপদ

ন্যাশনাল ডেস্ক: || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:০৬, ২৪ ডিসেম্বর ২০১২   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শীত আর কুয়াশায় বিপর্যস্ত উত্তর জনপদ

ডেস্ক রিপোর্ট, ২৪ ডিসেম্বর (রাইজিংবিডি টোয়েন্টিফোর ডটকম): দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে ঘন কুয়াশা, হিমেল হাওয়া আর প্রচণ্ড শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিগত কয়েকদিন ধরে সূর্য কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকায় রৌদ্রের দেখা মিলছে না। বেড়ে চলেছে শীতজনিত নানা রোগ।

প্রচণ্ড কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় অসহায় গরিব-দুঃখী ও ছিন্নমূল মানুষ খড়কুটো ও কাগজ জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। ফলে গরিব ও অসহায় মানুষ শীতের আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। ব্যাহত হচ্ছে যানবাহন চলাচল। প্রচণ্ড শীতের কারণে ব্যাপকহারে শিশুদের নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া রোগ দেখা দিয়েছে। এছাড়া বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

সারাদিন গরম কাপড় পরিধান করে জীবন রক্ষা করতে হচ্ছে। দিনমজুররা শীতের দাপটে মাঠে-ঘাটে কাজ করতে পারছেন না। সরকারি পর্যায়ে কিছু শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও সমাজসেবী, শিল্পপতি ও কোনো স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান শীতার্তদের সহায়তায় এখনো তেমন এগিয়ে আসেনি। গত বছরের চেয়ে এবার এসময় শীতের তীব্রতা বেশি।

রোববার সারাদিন এবং  সোমবার সকাল থেকেই ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা ৫০ থেকে ১০০ মিটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। প্রচণ্ড শীতের কারণে অনেক স্থানে ক্ষেত খামারের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে গন্তব্যস্থলে যাচ্ছে। রাতের বেলায় বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে। বেশি সমস্যায় রয়েছে নিম্ন আয়ের মানুষেরা। এরচেয়ে বেশি কষ্টে দিনাতিপাত করছে চরাঞ্চলের মানুষগুলো।

গত তিনদিনে রংপুর মহানগরীর স্টেশন এলাকা, হনুমানতলা, কাচারীবাজার, শালবন মিস্ত্রিপাড়া, দর্শনা এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তার পাশে ফুটপাতে দোকানিরা নতুন ও পুরাতন কম্বল,সোয়েটার, জ্যাকেট, কোটসহ ছোটবড়দের বিভিন্ন রকমের শীতবস্ত্র সাজিয়ে রেখেছেন।

এসব দোকানের মধ্যে শীতবস্ত্র কেনার ধুম পড়েছে। রেল স্টেশনের কয়েকজন ফেরিওয়ালারাকে মাফলার, কানটুপি, হেডফোন কান ঢাকনা বিক্রি করতে দেখা যায়। জেলা শহরসহ বিভাগের চরগুলোর সিংহভাগ মানুষ অর্থাভাবে পারছে না শীতবস্ত্র কিনতে। সরকারিভাবে শীতবস্ত্র বরাদ্দ হলেও তা তুলনামূলক অপ্রতুল। ঘন কুয়াশা ও হিমালয়ের পাদদেশ ছোঁয়া এ এলাকায় হিমেল হাওয়া শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়েছে অনেকগুণ। শীতবস্ত্রহীন কর্মব্যস্ত মানুষও কাজের খোঁজে বাইরে যেতে পারছে না। খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুনের উত্তাপ নিয়ে তাদের দিন কাটাতে হচ্ছে।

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়