ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ফিরে দেখা: চ্যাম্পিয়নস ট্রফি-২০০২

শামীম হোসেন পাটোয়ারি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৪:৫২, ২৬ মে ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ফিরে দেখা: চ্যাম্পিয়নস ট্রফি-২০০২

শামীম পাটোয়ারী : কয়েকদিন পরই ইংল্যান্ডে ঘোমটা উঠবে মিনি বিশ্বকাপ খ্যাত আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির। জমাজমাট এ আসরে অংশ নিতে বাংলাদেশসহ বেশ কিছু দল ইতিমধ্যেই ইংল্যান্ডে পা রেখেছে। মর্যাদার আসর শুরুর আগে চলুন ফিরে দেখি কেমন উত্তেজনা ছড়িয়েছিল চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগের আসরগুলো।

২০০২ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি
২০০০ সালের আগে আইসিসি নকআউট ট্রফি নামে এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হতো। ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ প্রথম আসরের পর একই নামে কেনিয়ায় দুই বছর পর দ্বিতীয় আসর বসেছিল। ২০০০ সালে নকআউট ট্রফির নাম বদলে হয়ে যায় আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি।

আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির তৃতীয় আসর বসে শ্রীলঙ্কায়। ২০০০ সালের ওই আসরটি ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভারতে ট্যাক্স থেকে ছাড় না দেওয়ায় সেটি শ্রীলঙ্কাতে অনুষ্ঠিত হয়। ওই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহনকারী দল ছিল ১২টি। দুটি সেমিফাইনাল এবং একটি ফাইনাল সহ মোট ১৫ ম্যাচ খেলা হয়েছিল।



চ্যাম্পিয়নস ট্রফির তৃতীয় আসরের সবগুলো ম্যাচ কলম্বোর দুটি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হয়। একটি হচ্ছে প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম এবং অপরটি সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ড।

১০ টেস্ট খেলুড়ে দেশের সঙ্গে ২০০২ আসরে যুক্ত হয়েছিল কেনিয়া এবং নেদারল্যান্ডস। দলগুলো চারটি গ্রুপের আওতাভুক্ত ছিল। প্রতিটি গ্রুপে ছিল ৩টি করে দল। গ্রুপের প্রতিটি দল পরস্পরের সঙ্গে একবার করে মুখোমুখি হয়েছিল। আর চার গ্রুপের সেরা দল অংশ নেয় সেমিফাইনালে।

প্রথম সেমিফাইনালে শক্তিশালী শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরেছিল অস্ট্রেলিয়া। অন্যদিকে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছিল ভারত। ফাইনাল ম্যাচটি ভারত এবং শ্রীলঙ্কার মধ্যে দুইবার অনুষ্ঠিত হলেও কোন ফলাফল পাওয়া যায়নি। ২৯ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কা ৫০ ওভার ব্যাটিংয়েরপর ভারত মাত্র ২ ওভার ব্যাটিং করার সুযোগ পায়। বৃষ্টির জন্য এদিন খেলা বিঘ্নিত হয়।



পরদিন শ্রীলঙ্কা পুনরায় ৫০ ওভার ব্যাটিং করলেও ভারত ৮ ওভার ব্যাটিং করতে সক্ষম হয়।আবারো বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় বৃষ্টি। অবশেষে আয়োজক কমিটি উভয় দলকে যৌথভাবে বিজয়ী ঘোষণা করতে বাধ্য হয়। দল দু’টি ১১০ ওভার খেললেও কোন ফলাফল আনতে ব্যর্থ হয়। ওই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন ভারতীয় ব্যাটসম্যান বীরেন্দ্র শেবাগ (২৭১)। আর ১০ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন লঙ্কান বোলার মুত্তিয়া মুরালিধরন।

২০০২ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির টোটাল প্রাইজমানি ছিল ১.১৫ মিলিয়ন ডলার। এছাড়া টুর্নামেন্টে অংশগ্রহনের জন্য অংশগ্রহনকারী ১২ দলের প্রত্যেকেই ১ লাখ ৬৫ হাজার ডলার করে পায়। টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে ১ লাখ ২৫ এবং ফাইনালে জয়ী দল ৩ লাখ ডলার করে পেয়েছে।

এক নজরে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি-২০০০

তারিখ : ১২সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর-২০০০
আয়োজক : শ্রীলঙ্কা
ফরম্যাট : ওয়ানডে ইন্ডারন্যাশনাল
টুর্নামেন্ট : রাউন্ড-রবিন
অংশগ্রহণকারী দেশ : ১২টি
মোট ম্যাচ : ১৫টি
চ্যাম্পিয়ন : যৌথভাবে ভারত ও শ্রীলঙ্কা
সবচেয়ে বেশি রান : ভারতের বীরেন্দ্র শেবাগ (২৭১)
সবচেয়ে বেশি উইকেট : শ্রীলঙ্কার মুত্তিয়া মুরালিধরন (১০ উইকেট)।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ মে ২০১৭/শামীম

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়