ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

মালামাল রাস্তায় : হাতিরঝিল-তেজগাঁও সড়ক বন্ধ

ইয়ামিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:৪০, ৩ জানুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মালামাল রাস্তায় : হাতিরঝিল-তেজগাঁও সড়ক বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক : গুলশানের ডিসিসি মার্কেটের আগুন পাশের গুলশান শপিং সেন্টারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় অধিকাংশ দোকানের মালামাল রাস্তায় নামিয়ে রাখা হয়েছে।

 

রাস্তায় মালপত্র স্তুপ করে রাখায় গুলশান-১ গোলচত্বর থেকে হাতিরঝিল-তেজগাঁও অভিমুখী সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

 

উন্মুক্ত জায়গায় রাখা এসব দামি মালামাল খোয়া যাওয়া নিয়েও চিন্তিত দোকান মালিকেরা। তবে পুলিশের সার্বক্ষণিক অবস্থানে কিছুটা স্বস্তিবোধ করছেন তারা।

 

চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে গুলশান শপিং সেন্টারের বিভিন্ন তলা থেকে মালামালের কার্টন ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানের ওপর রাখা হচ্ছে। আর ভারী ও ভঙ্গুর মালামালের কার্টনগুলো সাবধানে সিঁড়ি বেয়ে নামিয়ে আনা হচ্ছে। কিন্তু ফার্নিচার দোকান অধ্যুষিত গুলশান শপিং সেন্টারের বেশিরভাগ মালামালই গুলশান-১ গোলচত্বর ও আশপাশের সড়কে যত্রতত্র রাখা হয়েছে। দামি চেয়ার, টেবিল, খাট, ড্রেসিং টেবিল, সোফা, আলমারি, ডাইনিং টেবিল, ডিনার অগান, দরজা-জানালার পর্দা, ফোম, ম্যাট্রেসসহ গৃহ সজ্জার সরঞ্জাম রাস্তার মাঝে জড়ো করা হয়েছে।

 

এ ছাড়া শিশুখাদ্য, টিস্যু, কসমেটিক্স, ঝাড়বাতি, এসি, পোশাক, শোপিস, ফিটিংস, পারফিউম, বিদেশি চকলেট, তেলের কন্টেনার, জার, টেলিভিশন, মোবাইলের কার্টনসহ হাতে বহন করার মতো মূল্যবান মালামাল সড়কের আইল্যান্ডের ওপর অবিন্যাস্ত অবস্থায় রাখা হয়েছে।

 

এক ফার্নিচার দোকানি জানান, আমার দোকান গুলশান শপিং সেন্টারে। শুনলাম এটাও ঝুঁকির মধ্যে আছে। তাই মালামাল নামিয়ে নিয়ে আসছি। কিন্তু এগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে এখন আমি চিন্তিত।

 

দোকানদারদের মালামালের নিরাপত্তায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ সেখানে অবস্থান করছেন।

 

পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানই পুলিশের কাজ। যতক্ষণ পুলিশ এখানে আছে, কারো কোনো ক্ষতি হবে না। তবে এ ব্যাপারে সর্ব সাধারণের সহযোগিতা প্রয়োজন।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩ জানুয়ারি ২০১৬/ইয়ামিন/এসএন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়