ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

১ মাসে মোবাইল ব্যাংকিং গ্রাহক বেড়েছে ৭৯ লাখ

আশরাফ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:১৭, ২৭ মার্চ ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
১ মাসে মোবাইল ব্যাংকিং গ্রাহক বেড়েছে ৭৯ লাখ

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : দেশে জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারি মাসে মোবাইল ব্যাংকিং গ্রাহকের সংখ্যা ৭৯ লাখের বেশি বেড়েছে। এটা আগের মাসের তুলনায় ১৯ শতাংশ বেশি। যা একক মাস হিসেবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি শেষে মোট মোবাইল ব্যাংকিং গ্রাহক ছিল ৪ কোটি ৯৮ লাখ ৫৪ হাজার। যা আগের মাস জানুয়ারি পর্যন্ত ছিল ৪ কোটি ১৯ লাখ ৩৩ হাজার।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, রেকর্ড পরিমাণ গ্রাহক বাড়লেও এ সময়ে মোবাইলে লেনদেন কমেছে। জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারি মাসে মোট লেনদেন কমেছে প্রায় সাড়ে ১১ শতাংশ। আর দৈনিক লেনদেন কমেছে প্রায় ৫ শতাংশ।

দ্রুততম সময়ে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে টাকা পাঠানোর অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম মোবাইল ব্যাংকিং। বর্তমানে এ সেবা ব্যবহার করে মানুষ তাদের পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়ের কাছে বেশি টাকা পাঠাচ্ছেন।

তবে সম্প্রতি মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় অপব্যবহার ঠেকাতে বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে হিসাব খেলা ও পরিচালনা এবং লেনদেনে আরো কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। এখন একজন ব্যক্তি যেকোনো মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় একটি মাত্র হিসাব চালু রাখতে পারবেন। যাদের একাধিক হিসাব চলমান আছে, তা দ্রুত বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

একই সঙ্গে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থায় দৈনিক ও মাসিক লেনদেনের সীমা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে একজন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের গ্রাহক একবারে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। আগে এই হার ছিল ২৫ হাজার টাকা। এখন থেকে গ্রাহক দৈনিক দুই বার এবং মাসে ১০ বার এই সেবা নিতে পারবেন, যা আগে ছিল দৈনিক তিন বার এবং মাসে ১০ বার।দৈনিক জমার সীমাও পরিবর্তন করা হয়েছে।

এখন দিনে সর্বোচ্চ দুই বারে ১৫ হাজার টাকা করে পাঠানো যাবে। মাসে ২০ বারে ১ লাখ টাকার বেশি পাঠানো যাবে না। আগে দিনে পাঁচ বারে ২৫ হাজার টাকা এবং মাসে ২০ বারে দেড় লাখ টাকা করে জমা করা যেত।

এ ছাড়া একটি মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবে টাকা জমার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই হিসাব থেকে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকার বেশি নগদ উত্তোলন করা যাবে না। পাশাপাশি ৫ হাজার টাকা বা এর অধিক লেনদেন করার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিপত্র প্রদর্শনের বিধান করা হয়েছে। এমনকি রেজিস্টার খাতায় গ্রাহকের স্বাক্ষর বা টিপসই সংরক্ষণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোনো এজেন্ট এই ধরনের কার্যাদি যথাযথভাবে সম্পন্ন না করলে বা গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেলে এজেন্টশিপ বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৭ মার্চ ২০১৭/আশরাফ/হাসান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়