ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

ভ্যাটহীন ইন্টারনেট চায় অ্যামটব

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:২৮, ১৮ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ভ্যাটহীন ইন্টারনেট চায় অ্যামটব

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর আরোপিত মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (অ্যামটব)।

একই সঙ্গে টকটাইমের ওপর সারচার্জ প্রত্যাহারের পাশাপাশি মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলোর করপোরেট কর ৪৫ থেকে কমিয়ে ৩৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

মঙ্গলবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় অ্যামটবের পক্ষ থেকে এ প্রস্তাব করা হয়।

আলোচনায় মূল প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন সংগঠনের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট সাহেদ আলম। সভায় এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান সভাপতিত্ব করেন।

সংগঠনের মহাসচিব টি আই এম নুরুল কবির বলেন, ২০১৬ সালে মুঠোফোন অপারেটররা দেশের মোট জিডিপির ৬.২ শতাংশ যোগান দিয়েছে। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ২০২০ সালে এ খাত থেকে ৮ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে মুঠোফোন অপারেটরগুলো যে আয় করে তার প্রায় ৫০ শতাংশ (প্রতি ১০০ টাকায় ৫০ টাকা) সরকার পায়। বাকি ৫০ শতাংশের মধ্যে ৩০ শতাংশ সার্ভিসিংয়ে ব্যয় করতে হয়। পৃথিবীর আর কোনো দেশে মুঠোফোন অপারেটরগুলোর ওপর এত বেশি কর নেই। বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি কর দিয়েও আমরা পৃথিবীর সবচেয়ে কম মূল্যে ইন্টারনেট ও গ্রাহক সেবা দিয়ে যাচ্ছি। এ খাতের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নে কর প্রণোদনা প্রয়োজন।

নুরুল কবির বলেন, সকলের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার সহজ, ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে ইন্টারনেট সেবার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া দরকার। এর মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া সহজ হবে। এ ছাড়া সরকারের উচিত হবে সিম কার্ডের ওপর আরোপিত সম্পূরক শুল্ক ও ভ্যাট সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা।

তিনি বলেন, দেশের ৪৬ শতাংশ মানুষ এখনো মোবাইল নেটওয়ার্কের বাইরে আছে। বিশাল এ জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। মোবাইল অপারেটরগুলো সরকারের ডিজিটাল ভিশন বাস্তবায়নের জন্য বদ্ধ পরিকর। তারা গ্রাহকদের বিভিন্নভাবে প্রণোদনা দেওয়ার চেষ্টা করছে।

করপোরেট করের বিষয়ে সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘মোবাইল অপারেটররা এ খাতের অগ্রপথিক। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এ খাতের অংশীজনদের ওপর উচ্চ করের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ খাতে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মোবাইল অপারেটর কোম্পানিসমূহকে ৪০ শতাংশ ও তালিকার বাইরে থাকা কোম্পানিসমূহকে ৪৫ শতাংশ হারে করপোরেট কর পরিশোধ করতে হয়। এত উচ্চ করারোপ অন্য কোনো খাতে করা হয়নি। উচ্চ করারোপ সরকারের লক্ষ্যকে বাধাগ্রস্ত করছে। বিনিয়োগে নিরুৎসাহিত করছে। সম্ভাবনাময় এ খাতকে আলাদাভাবে বিবেচনা না করে অন্যান্য সাধারণ কোম্পানির মতো এ খাতে করপোরেট কর ৩৫ শতাংশ করা উচিত।

নুরুল কবির জানান, সিম ও রিম সরবরাহের ক্ষেত্রে ৩৬.৬৫ টাকা ভ্যাট ও ৬৩.৩৫ টাকা সম্পূরক শুল্কসহ ১০০ টাকা সিম ট্যাক্স ও রিপ্লেসমেন্টে সিমে ১০০ টাকা ট্যাক্স পরিশোধ করতে হয়। গ্রাহক সেবা বৃদ্ধি, গ্রামীণ গ্রাহকদের আকৃষ্ট করা, কোম্পানিসমূহকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করা ও সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে এ ট্যাক্স পুরোপুরি প্রত্যাহার হওয়া দরকার।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ এপ্রিল ২০১৭/এম এ রহমান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়