ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

মামলাজটে ৩৩ হাজার কোটি টাকার ভ্যাট

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:২৭, ২৭ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মামলাজটে ৩৩ হাজার কোটি টাকার ভ্যাট

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : মামলা জটিলতা থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মুক্তি মিলছে না। শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠানটির বৃহৎ করদাতা ইউনিটে (এলটিইউ) ভ্যাট বিভাগের ৮০৪টি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। আর এসব মামলার বিপরীতে সরকারের প্রায় ৩৩ হাজার ৭৯ কোটি টাকা আটকে আছে।

এলটিইউ ভ্যাট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

যদিও এনবিআর বরাবরই বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তিকে (এডিআর) উৎসাহিত করে মামলাজট কমাতে চেষ্টা  করছে।

এলটিইউ তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে আদালতে এনবিআরের এলটিইউর শুধুমাত্র ভ্যাট বিভাগের ৮০৪টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এসব মামলার বিপরীতে প্রায় ৩৩ হাজার ৭৯ কোটি টাকা সরকারি রাজস্ব অনাদায়ী রয়ে গেছে।

আদালতে বিচারাধীন মামলাগুলোর মধ্যে আপিলাত ট্রাইব্যুনালে রয়েছে ৩৯টি মামলা। এ মামলাগুলোর বিপরীতে আটকে আছে ৩ হাজার ৩৬৯ কোটি টাকা। এছাড়া হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন ৬৫৯টি মামলার বিপরীতে ১৩ হাজার ১৬ কোটি টাকা, আপিলাত বিভাগে ১৩টি মামলার বিপরীতে ২ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা ও অন্যান্য মামলার বিপরীতে প্রায় ১৩ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা অনাদায়ী রয়ে গেছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অডিট কর্মকর্তারা কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির তথ্য উদঘাটনের পর দাবিনামা জারি করলেই সাধারণত কোম্পানিগুলো আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে। মূলত আদালতে দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ার সুযোগ নিতেই এটা করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে মামলার বিচার প্রক্রিয়া যাতে দীর্ঘ হয় সেজন্য কোম্পানিগুলো আদালতে লবিস্ট নিয়োগ করে রাখে।

এসব বিষয়ে এলটিইউ ভ্যাট বিভাগের কমিশনার মতিউর রহমান বলেন, ‘জট কমাতে বর্তমানে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) পদ্ধতিতে মামলা নিষ্পত্তিতে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি এ পদ্ধতিতে সেভেন সার্কেল বাংলাদেশ লিমিটেডের ৫টি মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এসব মামলায় ৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা আদায় হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘২০১৫-১৬ অর্থবছরের ৬টি মামলা এডিআরের মাধ্যমে নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। এছাড়া ২০১৬-১৭ অর্থবছরের ৬টি মামলা এডিআরের মাধ্যমে নিষ্পত্তির আবেদন করা হয়েছে।’

মতিউর রহমান বলেন, ‘সম্প্রতি এলএম লিমিটেডের বিরুদ্ধে একটি মামলায় ১২ কোটি ৭৯ লাখ টাকা এডিআরের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করতে আদালতে আবেদন করা হয়েছে। এছাড়া প্রায় ১৯০ কোটি টাকার রাজস্ব সংক্রান্ত ব্যাংকিং খাতের ১২টি মামলা ও সিমেন্ট খাতের ১৫টি মামলার প্রায় ৮৭ কোটি রাজস্ব আদায়ে এডিআরের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করতে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা আগ্রহী হলে এডিআরের মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৭ এপ্রিল ২০১৭/এম এ রহমান/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়