ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

হবিগঞ্জে চাহিদার শীর্ষে ওয়ালটন ফ্রিজ

|| রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:০৭, ৬ মে ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
হবিগঞ্জে চাহিদার শীর্ষে ওয়ালটন ফ্রিজ

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : বৈশাখ মাসে তাপমাত্রা বেশি থাকে। তাই গরমও প্রচুর। এ সময়ে পানিসহ ঠান্ডা খাদ্যদ্রব্যের চাহিদা বেড়ে যায়। আর এ প্রয়োজনে অপরিহার্য হচ্ছে ফ্রিজ। তাই এ সময়টাতে অনেকেই নতুন ফ্রিজ কেনেন।

তবে এবার চাহিদা আরেকটু বেশি। কেননা কিছু দিন পরেই শুরু হবে পবিত্র রমজান মাস। তাই হবিগঞ্জে ফ্রিজ কেনার ধুম পড়েছে। এক্ষেত্রে চাহিদা বেশি ওয়ালটন ফ্রিজের।

সাশ্রয়ী মূল্য, কিস্তিতে কেনার সুবিধা এবং মানের দিক থেকেও ভাল হওয়ায় বেশিরভাগ ক্রেতা বেছে নিচ্ছেন ওয়ালটন ফ্রিজ। যেমনটি বললেন হবিগঞ্জ জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে খাজা গার্ডেন সিটিতে ফ্রিজ কিনতে আসা লুৎফুর রহমান। এ মার্কেটের টি আর ইলেক্ট্রো মার্ট থেকে ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনেছেন তিনি। ওয়ালটন কেন পছন্দ করেছেন- এ প্রশ্নে লুৎফর বলেন, ‘অনেক যাচাই করেছি। ওয়ালটনের তুলনা হয় না। এটি দেশীয় পণ্য। তাই এ কোম্পানির ফ্রিজ কিনে নিয়ে যাচ্ছি।’


প্রায় একই রকম কথা বললেন তপন কুমার দাশ, অন্তু রায়, শাহনেওয়াজ আলী।  এ শো-রুম থেকে ওয়ালটনের ফ্রিজ ক্রয় করেছেন। তারা বলেন, আমরা ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনতে পেরে খুশি। পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে নতুন ফ্রিজ কিনেছি। এ জন্য ডিনার সেট উপহার পেয়েছি। বাজারে এ ডিনার সেটের মূল হবে তিন হাজার টাকা। এছাড়া ফ্রিজ ক্রয়ে মূল্য ছাড়ও পেয়েছি।

ফ্রিজ কিনতে আসা গৃহবধু সুমি আক্তার বলেন, আসছে পবিত্র রমজানে ফ্রিজের খুব প্রয়োজন। এ সময়ে মাছ ও মাংস সংরক্ষণের জন্য ফ্রিজ অপরিহার্য। তাই ইলেক্ট্রো মার্টে ফ্রিজ কিনতে এসেছি। ফ্রিজ ক্রয় করে ডিনার সেটও উপহার পেলাম।

শো-রুমের সেলস্ এক্সিকিউটিভ চিন্ময় অংশু জানান, হবিগঞ্জের ক্রেতাদের কাছে ওয়ালটনের ফ্রিজসহ অন্যান্য পণ্য জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এখন বেশি বিক্রি হচ্ছে ওয়ালটনের ফ্রিজ। আমরাও ক্রেতাদের চাহিদামত ফ্রিজ নিয়ে এসেছি। আরও ফ্রিজ আসছে।


ওয়ালটনের হবিগঞ্জ ডিস্ট্রিক্ট ডিস্ট্রিবিউটর ও রোটারিয়ান মোদারিছ আলী টেনু জানান, ওয়ালটন ফ্রিজের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রোডাক্টের কোনো সংকট নেই। তিনি জানান, ওয়ালটন ফ্রিজের ডিপ অংশ অন্যান্য ফ্রিজের চেয়ে বড় বলে এটিই বেশি কিনছেন ক্রেতারা। তার শোরুম ইলেক্ট্রো মার্টে বিক্রিও বেশ ভাল। তিনি বলেন, ২০১৬ সালে ওয়ালটনের ফ্রিজসহ পণ্য বিক্রিতে আমি বিভাগে প্রথম হয়েছি। আর সারা দেশে চতুর্থ। এবার প্রথম হতে চাই।

মোদারিছ আলী জানান, সামনে পবিত্র রমজান মাস। তাই কেউ ফ্রিজ কিনলে তার পক্ষ থেকে ক্রেতাদের একটি করে ডিনার সেট উপহার দিচ্ছেন। ওয়ালটনের পণ্যে কোন ভেজাল নেই। হবিগঞ্জের আনাচে কানাচের ক্রেতাদের কাছে ওয়ালটনের পণ্য অত্যন্ত প্রিয়।

তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ এবং পণ্যের গুণগত উচ্চমান নিশ্চিত করতে নতুন কারখানা স্থাপন করেছে ওয়ালটন। তাই এবার ফ্রিজ বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা দ্বিগুণ করা হয়েছে। গত বছরের মতো এবারও রেকর্ড পরিমাণ ফ্রিজ বিক্রির প্রত্যাশা করছি।

তিনি জানান, জেলার বিভিন্ন স্থানে ওয়ালটনের শো-রুম রয়েছে। এসব শো-রুমেও ওয়ালটনের ফ্রিজসহ নানা পণ্য ব্যাপকভাবে বিক্রি হচ্ছে। ফ্রিজ ছাড়াও ফ্যান, টিভিসহ নানা ধরনের হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্য নিচ্ছেন ক্রেতারা। আর ডিলাররাও এসব পণ্য বিক্রি করে সন্তষ্ট।

 


রাইজিংবিডি/৬ মে ২০১৭/মো. মামুন চৌধুরী/এনএ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়