ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ওয়ালটন ফ্রিজ পেলো ফাইভ স্টার রেটিং

মিলটন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৫৪, ১৩ মে ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ওয়ালটন ফ্রিজ পেলো ফাইভ স্টার রেটিং

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড ওয়ালটনের ফ্রিজ পেলো ফাইভ স্টার এনার্জি রেটিং। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই) কর্তৃক নির্ধারিত মানদণ্ড ‘বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস ১৮৫০:২০১২’ অনুসরণ করে উচ্চ গুণগতমানের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ফ্রিজ তৈরি করায় মিলেছে এই সনদ। বাংলাদেশে একমাত্র ওয়ালটন ফ্রিজই পেয়েছে বিএসটিআই’র সর্বোচ্চ এই এনার্জি রেটিং।

ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ জানায়, বিদ্যুতের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইলেকট্রনিক্স পণ্য ব্যবহারের জন্য সবাইকে উদ্বুদ্ধ করছে। এরই প্রেক্ষিতে, বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও মেশিনারিজের সমন্বয়ে নিজস্ব কারখানায় ওয়ালটন তৈরি করছে ফ্রস্ট ও নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর। উচ্চ গুণগতমান ও ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ফ্রিজ তৈরিতে অনুসরণ করছে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার নির্ধারিত মানদণ্ড। যার ফলে গতমাসে (এপ্রিল) বিএসটিআই- এর কাছ থেকে ‘ফাইভ স্টার’ এনার্জি রেটিং সনদ পেয়েছে ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর।

এ প্রসঙ্গে বিএসটিআই’র উপ-পরিচালক নুরুল ইসলাম বলেন, ‘কোনো ইলেকট্রনিক্স পণ্য কতটুকু বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী তা প্রমাণের জন্য সেই পণ্যের স্টার রেটিং করা হয়। এক্ষেত্রে, ১ থেকে ৫ পর্যন্ত স্টার রেটিং করে থাকে বিএসটিআই। যে পণ্যের স্টার রেটিং যত বেশি, সেই পণ্য তত বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী।’

তিনি আরো বলেন, ‘বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই সংশ্লিষ্ট মান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা নির্ধারিত মানদণ্ড অনুযায়ী ফ্রিজ, এসির মতো ইলেকট্রনিক্স পণ্যের স্টার রেটিং হয়ে থাকে। বাংলাদেশেও ২০১২ সাল থেকে ‘বিডিএস ১৮৫০:২০১২’ মানদণ্ড অনুযায়ী হাউজহোল্ড রেফ্রিজারেটরের এনার্জি রেটিং সনদ দিচ্ছে বিএসটিআই। ফ্রিজের ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত ওয়ালটনই সর্বোচ্চ এনার্জি রেটিং সনদ পেয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘ফ্রিজের মতো ইলেকট্রনিক্স পণ্যের স্টার রেটিং করা খুবই জরুরি। ফ্রিজের গায়ে এনার্জি রেটিং থাকলে গ্রাহকরা সহজেই বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী পণ্যটি বেছে নিতে পারবেন। এর ফলে নিম্নমানের বিদেশি পণ্য কিনে ক্রেতারা ঠকবেন না।’

ওয়ালটনের সোর্সিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের নির্বাহী পরিচালক আশরাফুল আম্বিয়া বলেন, ‘বাংলাদেশে ওয়ালটনই সর্বপ্রথম বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেড বোর্ড কর্তৃক স্বীকৃত নুসদাত ইউনিভার্সাল টেস্টিং ল্যাব এ পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ‘বিডিএস ১৮৫০:২০১২’ স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ করে ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ফ্রিজ তৈরি করছে। যে কারণে ওয়ালটন ফ্রিজ পেয়েছে বিএসটিআই- এর সর্বোচ্চ এনার্জি রেটিং সনদ।’

তিনি মনে করেন, ‘ফ্রিজে সর্বোচ্চ এনার্জি রেটিং অর্জন করে ওয়ালটন প্রমাণ করেছে যে, উচ্চ গুণগত মান ও সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বজায় রেখেই ওয়ালটন তৈরি করছে ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ফ্রস্ট ও নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর। আবার, রপ্তানির ক্ষেত্রেও এই এনার্জি রেটিং থাকা আবশ্যক।’

ওয়ালটনের সিনিয়র অপারেটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম বলেন, ‘ফ্রিজে এনার্জি রেটিং নিয়ে ক্রেতাদের সচেতন হওয়া উচিৎ। কেননা, ফ্রিজে সংরক্ষিত খাবারের সঙ্গে পরিবারের স্বাস্থ্য সুরক্ষার পাশাপাশি মাসিক বিদ্যুৎ বিলের খরচও জড়িত। প্রযুক্তি নিয়ে নিয়মিত গবেষণার মাধ্যমে ওয়ালটন ফ্রিজে এমন প্রযুক্তি সংযোজন করা হয়েছে যা একদিকে খাবারের গুণগত মান অক্ষুন্ন রাখে। অন্যদিকে গ্রাহকের বিদ্যুৎ খরচও সাশ্রয় করে।’ ফ্রিজ কেনার সময় এনার্জি স্টার রেটিংকে গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

সম্প্রতি বাংলাদেশের বাজারে বিশ্বের লেটেস্ট ইনটেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির ফ্রিজ তৈরি করছে ওয়ালটন। যা ফ্রিজের বিদ্যুৎ খরচ প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত সাশ্রয় করে। এছাড়াও, পরিবেশ সুরক্ষায় ইউএনডিপি এবং ইউএসএআইডি এর সার্বিক সহায়তায় ওয়ালটন ফ্রিজের কম্প্রোসারে ব্যবহার করা হচ্ছে আর ৬০০এ গ্যাস।

সূত্র মতে, এইচসিএফসি এবং সিএফসিমুক্ত আর ৬০০এ গ্যাসযুক্ত ৩০টিরও বেশি মডেলের ফ্রস্ট ও নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ উৎপাদন ও বাজারজাত করছে ওয়ালটন। এর মধ্যে রয়েছে ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির ৪৩০ লিটার, ৪৬৭, ৫১২, ৫২০, ৫২৬, ৫৫৫, ৫৭৫ ও ৫৮৫ লিটারের ১৫টি মডেলের নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ। আরো রয়েছে ৫০, ১১৫, ১৬৫, ২১৮, ৩১২, ৩৩৭, ৩৪৮ ও ৩৫৮ লিটারের ১০ টি মডেলের ফ্রস্ট ফ্রিজ; ৮ মডেলের নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ।

ইনভার্টার কিভাবে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে তা ব্যাখ্যা করে ওয়ালটন আরএন্ডডি বিভাগের প্রধান তাপস কুমার মজুমদার বলেন, ‘ফ্রিজের অভ্যন্তরে সংরক্ষিত খাবারের পরিমাণ অথবা রুমের তাপমাত্রা অনুযায়ী ইনভার্টার প্রযুক্তির কম্প্রেসারের গতি নিয়ন্ত্রিত হয়। যা চলে কম্পিউটারাইজড ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে। প্রয়োজন না হলে কম্প্রেসার চলে না। ফলে বিদ্যুৎ খরচ অনেক কম হয়। ইনভার্টারে কুলিং পারফরমেন্সের কোনো তারতম্য না থাকায় খাবারের মান অক্ষুন্ন থাকে। ইনডাকশন কম্প্রেসারের তুলনায় ইনভার্টার কম্প্রেসার কম ঘুরে বিধায় এর কার্যক্ষমতাও প্রায় দ্বিগুণ।’

তিনি যোগ করেন, ‘বাংলাদেশে একমাত্র ওয়ালটনই ইউএনডিপি, ইউএসএইড ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতা ও তত্ত্বাবধানে নিজস্ব কারখানায় স্থাপন করেছে আর ৬০০এ গ্যাসযুক্ত ফ্রিজের উৎপাদন লাইন। ওয়ার্ল্ড স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী সর্বোচ্চ সতর্কতায় তৈরি হচ্ছে ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ও পরিবেশ বান্ধব আর ৬০০এ গ্যাসযুক্ত ওয়ালটন ফ্রিজ। মূলত, এতো সব উদ্যোগের ফলেই ওয়ালটন ফ্রিজে মিলেছে বিএসটিআই’র ফাইভ স্টার এনার্জি রেটিং।’



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ মে ২০১৭/মিলটন/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়