ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব ওয়ালটন এলইডি লাইট

অগাস্টিন সুজন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:৪২, ২৫ মে ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব ওয়ালটন এলইডি লাইট

অগাস্টিন সুজন : আধুনিক জীবনে বেড়েছে বৈদ্যুতিক পণ্যের ব্যবহার। ফলে ক্রমাগত বাড়ছে বিদ্যুৎ বিলও। অন্যদিকে বিদ্যুতের যোগান দিতেও গলদঘর্ম হতে হচ্ছে। বিশেষ করে গরমের সময়টায় বেড়ে যাচ্ছে লোডশেডিং। এ অবস্থায় প্রয়োজন এমন বৈদ্যুতিক পণ্যের যা বিদ্যুৎ সাশ্রয় করবে। ফলে কমবে লোডশেডিং। বিদ্যুৎ বিলও আসবে কম। বিদ্যুতের সুফল পাবেন সব গ্রাহক।

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের সঙ্গে লক্ষ্য রাখতে হয় পরিবেশ ও মানব স্বাস্থ্যের প্রতিও। একই সঙ্গে ব্যবহার করতে হয় এমন পণ্য, যা সেবা দেবে দীর্ঘদিন। আর এমনই একটি ইলেকট্রিকাল পণ্য ওয়ালটন এলইডি লাইট। যা বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব ও দীর্ঘস্থায়ী। রাস্তাঘাট, অফিস-আদালত ও বাসাবাড়ির আলোর চাহিদা মেটাতে বর্তমানে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে ওয়ালটন এলইডি লাইট। সাশ্রয়ী মূল্য ও উচ্চমানের কারণে বাড়ছে ওয়ালটন এলইডি লাইটের চাহিদা ও ব্যবহার।

সংশ্লিষ্টদের মতে, সঠিক পরিমাণ আলো পেতে এমন লাইট ব্যবহার করা প্রয়োজন, যেগুলোর লুমেন আউটপুট বেশি। একই সঙ্গে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী, ক্ষতিকারক মার্কারি ও ইউভি রশ্মি মুক্ত এবং পরিবেশ বান্ধব ও টেকসই।

 


ওয়ালটনের এলইডি লাইট গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগ জানায়, তাদের তৈরি এলইডি লাইট বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ও টেকসই এবং সর্বোচ্চ গুণগত মানসম্পন্ন। নজরকাড়া ডিজাইনের ওয়ালটন এলইডি লাইটের আলোর পরিমাণ, রঙ, প্রকৃতি ও বিস্তৃতি অন্যান্য বাল্বের তুলনায় অনেক বেশি। আলো বেশি উজ্জ্বল ও স্বচ্ছ। কমপ্যাক্ট ফ্লুরোসেন্ট লাইট (সিএফএল) বা এনার্জি সেভিং বাল্বের চেয়ে কম ওয়াটের ওয়ালটন এলইডি লাইটে পাওয়া যায় অনেক বেশি আলো। একটি ২৩ ওয়াটের সিএফএল বাতি যে পরিমাণ আলো দেয়, একটি ১২ ওয়াটের এলইডি লাইটে সেই পরিমাণ আলো দিচ্ছে। অন্যান্য বাল্বের তুলনায় ৯০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ওয়ালটন এলইডি লাইট।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ২০১৬ সালের হিসাব অনুযায়ী সারা দেশে প্রতিদিন আলো জ্বালাতে ২ হাজার ৪২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হয়। ওয়ালটন সূত্রমতে, দেশের সব বাতি এলইডিতে পরিবর্তন করা হলে এ খাতে দৈনিক বিদ্যুৎ খরচ হবে মাত্র ৯৭০ মেগাওয়াট। ফলে সাশ্রয় হবে ১ হাজার ৪৫৫ মেগাওয়াট বা ৬০ শতাংশ বিদ্যুৎ। যা বিদ্যুৎ ঘাটতি মিটিয়ে গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ প্রাপ্তিতে সহায়তা করবে।

ওয়ালটনের আরএন্ডডি বিভাগ জানায়, অন্যান্য বাল্বের তুলনায় ৫ থেকে ৬ গুণ টেকসই ওয়ালটন এলইডি লাইট। প্রতিটি লাইট ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার ঘণ্টা পর্যন্ত আলো দেয়। যেখানে এনার্জি সেভিং বা সিএফএল বাল্ব আলো দেয় মাত্র ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার ঘণ্টা।

ওয়ালটনের তৈরি এলইডি লাইটে মার্কারির মতো বিষাক্ত পদার্থ ব্যবহার না করায় তা পরিবেশ ও মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়। ওয়ালটন এলইডি লাইট ইউভি রশ্মি ছড়ায় না। ফলে এই বাতি মানব স্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতি করে না। ওয়ালটন এলইডি লাইট নবায়নযোগ্য। পারদ বা বিষাক্ত গ্যাস ব্যবহৃত হয় না বলে জমি বা পানিকে দূষিত করে না।

 


ওয়ালটন এলইডি লাইট তৈরি হয় নিজস্ব কারখানায়। গাজীপুরের চন্দ্রায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তির বিশ্বমানের এই কারখানায় নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বছরে উৎপাদিত হচ্ছে ২৫ লাখ এলইডি লাইট। এই কারখানায় তৈরি হচ্ছে ডিফিউজার, হিটসিঙ্ক, ড্রাইভার সার্কিট, প্লাস্টিক পার্টস, মেটাল এক্সেসরিজসহ এলইডি লাইটের সব ধরনের যন্ত্রাংশ। আছে উৎপাদিত এলইডি লাইটের গুণগতমান পরীক্ষার জন্য সর্বাধুনিক প্রযুক্তির টেস্টিং অ্যান্ড কোয়ালিটি চেকিং মেশিন। কাঁচামাল ক্রয় থেকে শুরু করে উৎপাদনের প্রতিটি পর্যায়ে কঠোরভাবে মান নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ফলে গ্রাহক পাচ্ছেন দেশে তৈরি উচ্চমানের এলইডি লাইট, যা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) কর্তৃক পরীক্ষিত ও স্বীকৃত।

বর্তমানে ওয়ালটন উৎপাদন ও বাজারজাত করছে একাধিক মডেলের সাশ্রয়ী মূল্যের এলইডি বাল্ব, এলইডি টিউব লাইট, ডাবল টিউব ডেকোরেটিভ লাইট, এলইডি ডাউন লাইট, প্যানেল লাইট, ফ্লাড লাইট, সিলিং লাইট, এলইডি হাই বে লাইট এবং এলইডি টিউব ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল শেড। বাজারে পাওয়া যাচ্ছে ৩ ওয়াট থেকে শুরু করে ১৩ ওয়াট পর্যন্ত প্রায় ৫০ ধরনের সাশ্রয়ী মূল্যের এলইডি বাল্ব। আছে ৮ থেকে ২০ ওয়াটের ১২ ধরনের এলইডি টিউব লাইট। ৩৬ ওয়াটের ডাবল টিউব ডেকোরেটিভ এলইডি লাইট। ১২ থেকে ২৪ ওয়াটের ৪ মডেলের এলইডি ডাউন লাইট এবং ১২ থেকে ৪৮ ওয়াটের ৪ মডেলের প্যানেল লাইট।

সারা দেশে বিস্তৃত ওয়ালটন প্লাজা এবং ইলেকট্রিক পণ্যের খুচরা বিক্রেতাদের কাছে পাওয়া যাচ্ছে উচ্চমানের এই এলইডি লাইট। সব ধরনের ওয়ালটন এলইডি লাইটে রয়েছে ২ বছরের রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টি।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ মে ২০১৭/সুজন/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়