ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘বিচার বিভাগ নিয়ে সরকার যা করছে তা ভয়াবহ’

এসকে রেজা পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:০৪, ৯ অক্টোবর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘বিচার বিভাগ নিয়ে সরকার যা করছে তা ভয়াবহ’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : প্রধান বিচারপতিকে ‘ছুটিতে পাঠিয়ে’ ক্ষমতাসীনরা যে নজির স্থাপন করেছে, ভবিষ্যতে এর পরিণতি ভয়াবহ হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

সোমবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

‘সর্বোচ্চ আদালত ধ্বংসের নীলনকশার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ’ শীর্ষক এ সভার আয়োজন করে শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যেজোট।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার সঙ্গে যে আচরণটা করা হয়েছে, তা বিচার বিভাগের প্রতি অসম্মান। এস কে সিনহার ছুটির বিষয়টি নিয়ে সারা দেশে এখন বিতর্কের ঝড়। ছুটির দরখাস্ত নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণের মধ্য দিয়েই সব কোর্টকেই এখন মুজিব কোর্ট করার নগ্ন চেষ্টা প্রমাণিত হয়েছে।’

প্রধান বিচারপতির ছুটির দরখাস্ত আইনমন্ত্রীর কাছে গেল কীভাবে, সে প্রশ্ন তুলে বিএনপির অন্যতম এই নীতিনির্ধারক বলেন, ‘আজ একটি প্রশ্ন সামনে এসেই যায়- প্রধান বিচাপরতি চিঠি যাওয়ার কথা রাষ্ট্রপতির কাছে। তাহলে আইনমন্ত্রীর কাছে কীভাবে ছুটির চিঠি আসলো?’

‘প্রধান বিচারপতির ছুটির বিষয়টি তো আইনমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেলই প্রথম প্রকাশ করেছেন। মূলত এখান থেকেই জনগণের মনে সন্দেহ তৈরি হয়। কারণ, প্রধান বিচারপতির ছুটির বিষয়টি প্রকাশের প্রয়োজন হলে সেটি তো বঙ্গবভন থেকে প্রকাশ করার কথা। প্রধান বিচারপতির অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে কে দায়িত্ব পালন করবেন তাও প্রকাশ করা হবে বঙ্গভবন থেকে। কিন্তু এসব বিষয় আইন মন্ত্রণালয়ে আসলো কীভাবে? এটা তো আইনমন্ত্রীর কাজ নয়,’ গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

চিঠির বানানে ভুলের বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি ছুটি চাইলে তাহলে তিনি ভুল দরখাস্তে স্বাক্ষর করতেন না। চিঠিতে দেওয়া স্বাক্ষর প্রধান বিচারপতির কি না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন তিনি।

অসুস্থ হয়ে ছুটি নিয়ে থাকলে প্রধান বিচারপতি পূজা করতে কীভাবে মন্দিরে গেলেন- সে প্রশ্নও তোলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করতে না পারলে আইনের শাসন থাকে না, এ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার ওপর যে আঘাত করা হয়েছে তার মাধ্যমে সহজে বোঝা যায় সরকার কী চায় এবং তাদের রূপ কী?’

নির্বাচনের আগে সরকারপ্রধানের পদত্যাগের দাবি করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হলে জনগণ ভোটকেন্দ্রে যাবে না। যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে যাবে না সেই নির্বাচনে বিএনপি কেন যাবে? অন্যান্য রাজনৈতিক দলই বা কেন যাবে? একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য, নিরপেক্ষতার জন্য এখন শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিশ্চিত করা জরুরি।’

আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়ার সভাপতিত্বে আরো বক্তব্যে দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল খান, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সহ-সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, সহ-আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন মেজবাহ, শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ বাহার উদ্দিন বাহার, শেখ মিজানুর রহমান, ফরিদ মিয়া ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সাহিদুর রহমান তামান্না প্রমুখ।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৯ অক্টোবর ২০১৭/রেজা/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়