মেয়ের জন্য ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে লাখ টাকার ভাউচার

অগাস্টিন সুজন : মেয়ের বিয়ের আর সপ্তাহখানেক বাকি। মেয়েকে ফ্রিজ দেবেন আলমগীর হোসেন বাদশা। দ্বিতীয় কোনো চিন্তা না করেই গেলেন নিকটস্থ ওয়ালটন প্লাজায়। ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজারসহ ২৫ হাজার টাকায় ফ্রিজ কিনে বাড়িও ফিরলেন। তখন ওয়ালটন শোরুম থেকে ফোন করে জানানো হলো তার জন্য আরো কিছু অপেক্ষা করছে। লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পেয়েছেন তিনি। এই টাকায় নিতে পারবেন ওয়ালটনের যেকোনো পণ্য।

চলমান ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচারপ্রাপ্তদের একজন বাদশা। সিলেটের বিয়ানিবাজারের দাশগ্রামে বাড়ি তার। দীর্ঘদিন দুবাইতে গাড়িচালকের কাজ করলেও বর্তমানে দেশে থাকেন। স্ত্রী, তিন ছেলে ও তিন মেয়ে নিয়ে সংসার। দুই ছেলে ও বড় মেয়ে স্বামী-সন্তানসহ দেশের বাইরে থাকে। ছোট ছেলে ও অন্য দুই মেয়ে বাবা-মার সঙ্গে বাড়িতে আছে। মেজ মেয়ের বিয়ে ২২ নভেম্বর। সেই উপলক্ষে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনেই লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পেয়েছেন বাদশা।

‘মেয়ের কী ভাগ্য দেখেন! কয়েকদিন পরেই তার বিয়ে। ছেলে ফ্রান্সে থাকে। মাশ-আল্লাহ অনেক ভালো জামাই পেয়েছি। মেয়েকে বেশ কিছু জিনিস দেব। তার মধ্যে রয়েছে একটা ফ্রিজও। আর সেই ফ্রিজ কিনেই লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পেলাম,’ রাইজিংবিডিকে বলেন বাদশা।
 

লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচারের মেসেজ দেখাচ্ছেন আলমগীর হোসেন বাদশা। সঙ্গে রয়েছেন তার স্ত্রী

বাদশা জানান, তার ঘরে ওয়ালটনের অনেক পণ্য। গত ঈদেই ওয়ালটনের ডিপ ফ্রিজ কিনেছেন। ওয়ালটন পণ্যের মান ও সেবায় সন্তুষ্ট তিনি। নিজে যেমন ব্যবহার করছেন, তেমনি আত্মীয়-স্বজনকেও বিভিন্ন ওয়ালটন পণ্য উপহার দিচ্ছেন। মেয়ে-জামাইকে সেরা পণ্যটা দিতে চান তিনি। তাই বিয়ানিবাজার ওয়ালটন প্লাজা থেকে গত রোববার ফ্রিজ কেনেন।

ওয়ালটন পণ্য ক্রয়ে যে ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার সুযোগ আছে, তা জানতেন না বাদশা। প্লাজার বিক্রয়কর্মীরাই বিষয়টি জানান তাকে। তারাই রেজিস্ট্রেশন করে দেন। তবে এত বড় কিছুর আশা করেননি তিনি। তার মোবাইলে লাখ টাকার মেসেজ এলেও গুরুত্ব দেননি। এমনকি যখন ওয়ালটন প্লাজা থেকে ফোন করে তাকে লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার কথা জানানো হয়, তখনো বিশ্বাস করতে পারছিলেন না।

‘এ রকম কত অফারের কথাই তো শুনি। কেউ পেয়েছে বলে দেখিনি। কিন্তু ওয়ালটন সত্যিই এমন একটি অফার দিয়েছে এবং আমি সেই অফারের লাখ টাকার বিজয়ী হয়েছি। খুবই ভালো লাগছে। উপহার পেতে কে না চায় বলেন? ওয়ালটনের এই ক্যাশ ভাউচার পেয়ে আমি, আমার পরিবার সত্যিই দারুণ খুশি,’ বলেন বাদশা।
 

আলমগীর হোসেন বাদশা এবং তার স্ত্রীর হাতে লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার ও অন্যান্য পণ্য তুলে দিচ্ছেন ওয়ালটন প্লাজা, বিয়ানিবাজারের কর্মকর্তাগণ
 

তিনি জানান, ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার দিয়ে আরো দুটি ফ্রিজ, দুটি এলইডি টেলিভিশন, ব্লেন্ডার, টেবিল ফ্যানসহ বেশকিছু পণ্য নিয়েছেন। একটি ফ্রিজ তিনি শ্বশুর বাড়িতে দেবেন। আরেকটি ফ্রিজ এবং অন্যান্য পণ্য নিজেদের ব্যবহারের জন্য রাখবেন।

ওয়ালটন ব্র্যান্ড ও পণ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ওয়ালটন দেশি পণ্য। অনেক ভালো সার্ভিস দেয়। আমি সবসময় দেশি জিনিস ব্যবহার করতে চাই। আমার আত্মীয়-স্বজন যারা ওয়ালটন পণ্য ব্যবহার করে, তারা ভালো বলে। দেশের এই কোম্পানি আরো এগিয়ে যাক, এই দোয়া করি।’

উল্লেখ্য, ক্রেতাদের দোরগোড়ায় অনলাইনে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চালু করেছে ওয়ালটন। এই কার্যক্রমে ক্রেতাদের অংশগ্রহণকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রতিদিন দেওয়া হচ্ছে নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার। ওয়ালটন প্লাজা এবং পরিবেশক শোরুম থেকে ১০ হাজার টাকা বা তার বেশি মূল্যের পণ্য কিনে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করে সর্বনিম্ন ২০০ থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পাচ্ছেন ক্রেতারা। ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার এই সুযোগ থাকবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ নভেম্বর ২০১৭/সাইফুল