ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ক্ষুদ্র স্বাস্থ্যবীমা খাত ভ্যাটমুক্ত রাখার দাবি

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:০৭, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ক্ষুদ্র স্বাস্থ্যবীমা খাত ভ্যাটমুক্ত রাখার দাবি

কেএমএ হাসনাত : ক্ষুদ্র স্বাস্থ্যবীমা খাতকে ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখার দাবি জানিয়েছে ইনস্যুরেন্স কোম্পানিগুলো। সম্প্রতি বীমা খাতের অন্যতম প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ইনস্যুরেন্স কোম্পানি (ইউআইসিএল) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)- এর কাছে এ বিষয়ে একটি চিঠি দিয়েছে।

ক্ষুদ্র স্বাস্থ্যবীমা খাতকে ভ্যাট মুক্ত করার বিষয়টি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে অবহিত করা হলে তিনি তা অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে পাঠিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ১৯৯৯ সাল থেকে অদ্যাবদি ইউআইসিএল বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবীমা সেবা দিয়ে আসছে। এর মধ্যে ২০১৪ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি এবং সুইস কারিগরি সহায়তায় একট যৌথ পাইলট প্রকল্পের আওতায় ইউআইসিএল তৈরি পোশাক শিল্প কারখানার কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিম্ন আয়ের শ্রমিকদের ক্ষুদ্র স্বাস্থ্যবীমা সেবাও দিচ্ছে।

উল্লেখ্য যে, বেসরকারি স্বাস্থ্যবীমা এবং পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের জন্য ক্ষুদ্র স্বাস্থ্যবীমা প্রবর্তনের ক্ষেত্রে ইউআইসিএল বিশেষ অগ্রণী ও পথিকৃৎ এর ভূমিকা পালন করছে।

এতে বলা হয়েছে, দেশের অনেক শিল্প ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের স্বাস্থ্যসেবা ও বীমার আওতায় আনতে ইচ্ছুক থাকা সত্ত্বেও স্বাস্থ্য খাতে সার্বিক ব্যয় ও পরিশোধিত প্রিমিয়ামের সঙ্গে অসামঞ্জস্যের কারণে স্বাস্থ্যবীমা সেবা গ্রাহক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে নিরুৎসাহব্যঞ্জক হয়ে পড়ে। ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেবাদাতারা সরকারি বিধান অনুযায়ী পরিশোধযোগ্য ১৫ শতাংশ ভ্যাট মওকুফ করে স্বাস্থ্যবীমা সেবাকে হ্রাসকৃত মূল্যে আকর্ষনীয় ও লাভজনকভাবে গ্রাহকদের কাছে উপস্থাপন করার ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করে থাকে। 

ইউআইসিএল- এর দাবি, ভ্যাট মওকুফ সুবিধা পেলে বীমাকারী অপেক্ষাকৃত সীমিত লোকসানে সেবা বিক্রি এবং বীমা গ্রহিতা অধিকতর স্বল্প মূল্যে সেবা ক্রয়গ্রহণ করতে সক্ষম হতেন। কোম্পানিটি শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ক্ষুদ্র স্বাস্থ্যবীমা সেবাকে ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গিতে না দেখে প্রতিষ্ঠানের সামাজিক দায়িত্ব (সিএসআর) হিসেবে গ্রাহকদের মাঝে বিক্রয় করার চেষ্টা করছে। দেশের মোট জনগোষ্ঠীকে বিশেষ করে মধ্য ও নি¤œ আয়ের মানুষদের মাঝে স্বাস্থ্যবীমা সেবা পৌঁছানোই এর মূল লক্ষ্য। কিন্তু প্রিমিয়ামের সঙ্গে ভ্যাট যুক্ত থাকার কারণে সেবার মূল্য বৃদ্ধি পায়। ফলে গ্রাহকরা স্বাস্থ্যবীমা সেবা ক্রয়ের ব্যাপারে নিরুৎসাহিত হয়ে পড়েন।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ক্ষুদ্র স্বাস্থ্যবীমা খাত ভ্যাট- এর আওতামুক্ত রাখতে পারলে বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্যবীমা সেবা গ্রহনের আওতায় আনার ক্ষেত্রে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া, সরকার বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে বিশেষ করে নিম্ন আয়ভুক্ত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা বীমার আওতায় আনার মাধ্যমে সরকার জনকল্যাণমুখী কর্মসূচি হিসাবে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছে। তাই, ক্ষুদ্র স্বাস্থ্যবীমা সেবা দেশের পোশাক শিল্পের শ্রমিক কর্মচারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রসারের লক্ষ্যে ক্ষুদ্র বীমা খাতে আরোপিত ১৫ শতাংশ ভ্যাট মওকুফ করলে সাধারন মানুষ উপকৃত হবে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ ডিসেম্বর ২০১৭/হাসনাত/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়