ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘চিংড়ির মধ্যে লোহা ঢুকিয়ে রপ্তানি হয়েছিল’

হাসান মাহামুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৩১, ২৪ জানুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘চিংড়ির মধ্যে লোহা ঢুকিয়ে রপ্তানি হয়েছিল’

সচিবালয় প্রতিবেদক : কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতীতে চিংড়ির মধ্যে লোহা ঢুকিয়ে রপ্তানি করেছিল ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে। এ কারণে ইইউর বাজারে বাংলাদেশের চিংড়ি রপ্তানি বন্ধ হয়েছিল। সে সমস্যার সমাধান সরকার করেছে। তবে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিষয়ে আরো সতর্ক থাকবে হবে।

বুধবার শিল্প মন্ত্রণালয়ে এক অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ডের (বিএবি) ‘অ্যাক্রেডিটেশন সনদ’ অর্জন করল জাতীয় মান নির্ধারণী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস্ অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। আন্তর্জাতিক মান ও অবকাঠামো অনুসরণের জন্য বিএসটিআইর বায়োলজিক্যাল, কেমিক্যাল ও মেকানিক্যাল ল্যাবরেটরি এ সনদ পেল। শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু আনুষ্ঠানিকভাবে বিএসটিআইর মহাপরিচালকের হাতে এ সনদ তুলে দেন।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. এনামুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএবির মহাপরিচালক মো. মনোয়ারুল ইসলাম, বিএসটিআইর মহাপরিচালক সরদার আবুল কালাম এবং বিএবির উপ-পরিচালক মো. আবদুল জলিলসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধানরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী আরো বলেন, পণ্যের গুণগত মানোন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক বুনিয়াদ শক্তিশালী করা বিএসটিআইর প্রধান দায়িত্ব। শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন হলেও বিএসটিআইর কর্মপরিধি ও জনগুরুত্ব অনেক। দেশের ৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে বিএসটিআই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। রপ্তানির পরিমাণ বাড়াতে হলে দেশে অধিক পরিমাণে মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন করতে হবে।

এ লক্ষ্যে তিনি বিএসটিআইর মান নির্ধারণী কার্যক্রম জোরদারের পরামর্শ দেন।

আমির হোসেন আমু বলেন, অতীতে চিংড়ির মধ্যে লোহা ঢুকিয়ে রপ্তানির কারণে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বাজারে বাংলাদেশের চিংড়ি রপ্তানি বন্ধ হয়েছিল। মান সনদ নিয়ে কারসাজির কারণে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে।

বর্তমানে বিএসটিআই অর্জিত অ্যাক্রেডিটেশন সনদের যাতে কোনো অপব্যবহার না হয়, সেজন্য তিনি প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সতর্ক করেন। তিনি অ্যাক্রেডিটেশন সনদপ্রাপ্ত ল্যাবরেটরিগুলোর গুণগত মান বজায় রাখতে আকস্মিক পরিদর্শনের জন্য বিএবির কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।

উল্লেখ্য, অ্যাক্রেডিটেশন সনদপ্রাপ্ত বিএসটিআইর ল্যাবরেটরিগুলোতে ফুড, বেভারেজ, সিমেন্ট, স্টিল, রড ও টেক্সটাইল পণ্যের গুণগত মান পরীক্ষা করা হয়।

এ সনদ অর্জনের ফলে দেশীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিএসটিআইর পরীক্ষণ সনদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। ফলে দেশীয় বাজারে মানসম্মত খাদ্য, বস্ত্র ও নির্মাণ সামগ্রী প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এতে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নির্মাণজনিত নিরাপত্তা জোরদার হবে।

পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির পরিমাণ বাড়বে। জাতীয় অর্থনীতিতে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ জানুয়ারি ২০১৮/হাসান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়