ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

বিনিয়োগ থেমে নেই : সিপিডি

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:৪৪, ৩ মার্চ ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বিনিয়োগ থেমে নেই : সিপিডি

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : রানা প্লাজা উত্তর পরিস্থিতিতে বিনিয়োগ থেমে থাকেনি।  নতুন নতুন পোশাক কারখানা হচ্ছে। যা উৎসাহব্যঞ্জক ফলাফল। এমনকি কারাখানা পর্যায়ে এসেছে ইতিবাচক বেশ কিছু পরিবর্তন।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।

শনিবার রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে এ বিষয়ে গবেষণাপত্রটি উপস্থাপন করেন সংস্থাটির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।

গবেষণা জরিপের মূল উদ্দেশ্য হলো পোশাক খাতের প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে কী ধরনের অগ্রায়ণ হচ্ছে। আজ প্রাথমিক গবেষণার ফল তুলে ধরা হয়েছে। চূড়ান্ত গবেষণা ফলাফলে আরো গভীর তথ্য উপাত্ত পাওয়া যাবে বলে সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

গবেষণার ফলাফল নিয়ে সিপিডি এর সম্মন্বিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, এই গবেষণায় প্রধান প্রধান পাঁচটি অংশ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে রানা প্লাজার দুর্ঘটনার পরে আমাদের পোশাক খাতে বড় কী ধরনের পরিবর্তন হচ্ছে। সেটাকে সামনে রেখে একটি নমুনা জরিপ পরিচালনা করা। ১৯৩টি প্রতিষ্ঠান ও দুই হাজারের ওপর শ্রমিকদের নিয়ে এ নুমনা জরিপ পরিচালিত হয়েছে। উৎসাহব্যঞ্জক ফলাফল হচ্ছে রানা প্লাজা উত্তর পরিস্থিতিতে  বিনিয়োগ থেমে থাকেনি, নতুন নতুন পোশাক কারখানা হচ্ছে। এমনকি কারাখানা পর্যায়ে বেশ কিছু পরিবর্তন আসছে। যেমন- ব্যক্তি মালিকানা থেকে গার্মেন্টেস লিমিটেডে পরিণত হচ্ছে। যদিও পরিচালনা পর্ষদে পরিবারের সদস্যদের অধিক্য দেখা গেছে। তবে পেশাদারি মনোভাব নিয়ে পরিচালনা পর্ষদ ব্যবস্থাপনা করছেন। এর মধ্যে অনেক পোশাক কারখানা নতুন ভবনে গেছেন।

১২ শতাংশ কারখানা এখনো পুরাতন ভবনে অবস্থান করছেন এমন তথ্য উপস্থাপন করে তিনি বলেন, রানা প্লাজা উত্তর পরিস্থিতে ছোট-বড় অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের কারখানা পরিবর্তন করলেও এখনো ১২ শতাংশের মতো কারখানা পুরাতন ভবনে রয়েছে। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের মতো বিদেমি কর্মকর্তা এখাতে কাজ করছেন। তাদের আর্থিক মূল্যও গবেষণায় উঠে এসেছে।

তিনি বলেন, সামাজিক অগ্রায়নের ক্ষেত্রে যে তথ্য এসেছে এখনো শ্রমিকদের গড় বেতন ৭ হাজার ২০০ এর মতো। অর্থ্যাৎ ৮ হাজার টাকার নিচে। তবে নারী শ্রমিক ও পুরুষ শ্রমিকের মধ্যে গড় আয়ের ক্ষেত্রে পার্থক্য কমছে। নারীরা এগোচ্ছে। কিন্তু সামগ্রিকভাবে নারী শ্রমিকের সংখ্যা কমছে। নতুন প্রযুক্তির ব্যবহারের ক্ষেত্রে বড় প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এবং নারী শ্রমিকরা পিছিয়ে আছে। ট্রেড ইউনিয়নের উপস্থিতি কম। কল্যাণ সংঘ তুলনামূলকভাবে ক্রমন্বয়ে শক্তিশালী হচ্ছে। তবে ট্রেড ইউনিয়নের পরিস্থিতি দুর্বল।

সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রায়নে অসম পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে সম্মানিত ওই ফেলো বলেন, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রায়ণের হিসেবে অসম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অসম অগ্রায়ণের প্রবণতা রয়েছে, অবস্থানগত অগ্রায়ণের দেখা যাচ্ছে ছোট প্রতিষ্ঠানগুলো তেমনভাবে এগিয়ে যাচ্ছে না। সকল প্রতিষ্ঠান সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রায়ণের ক্ষেত্রে টিকতে পারছে না। এক্ষেত্রে ছোটরা অন্য সেক্টরে চলে যেতে পারে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩ মার্চ ২০১৮/এম এ রহমান/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়