ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

জাতীয় উৎপাদনশীলতা পুরস্কারপ্রাপ্তদের জন্য নীতিমালা হচ্ছে

নাসির উদ্দিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:০৬, ২৫ এপ্রিল ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
জাতীয় উৎপাদনশীলতা পুরস্কারপ্রাপ্তদের জন্য নীতিমালা হচ্ছে

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : জাতীয় উৎপাদনশীলতা পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে নীতিমালা প্রণয়ন করবে শিল্প মন্ত্রণালয়।

এ নীতিমালা হবে বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা সিআইপি (শিল্প) নীতিমালার অনুরূপ। এর ফলে জাতীয় উৎপাদনশীলতা পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের জন্য সরকারের দেওয়া সুবিধাদি নিশ্চিত হবে।

বুধবার রাজধানীর মতিঝিলে শিল্প মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় উৎপাদনশীলতা পরিষদের (এনপিসি) দ্বাদশ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দেশের শিল্প ও সেবাসহ বিভিন্নখাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে কর্ম-কৌশল নির্ধারণের জন্য এ সভার আয়োজন করা হয়। শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এতে সভাপতিত্ব করেন।

সভায় শিল্পমন্ত্রী বলেন, শিল্পখাতে উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে শিল্পসমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে বর্তমান সরকার কাজ করছে। এ লক্ষ্যে বর্তমান সরকার ইতোমধ্যে ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশনের (এনপিও) কার্যক্রম জোরদার করেছে। বিভিন্ন শিল্পখাতে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে এপিওর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

শিল্পের গুণগত উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় নতুন যন্ত্রপাতি স্থাপন ও পণ্য বৈচিত্র্যকরণের প্রয়াস জোরদার করা হয়েছে। এখাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, দক্ষতা অর্জন এবং অপচয়রোধে এনপিওর প্রশিক্ষণ সম্প্রসারণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের মনোনীত প্রতিনিধিরা একটি ট্রফি, সনদপত্র ও নিজ প্রতিষ্ঠানের পণ্যের অনুকূলে তিন বছরের প্রচারের জন্য পুরস্কারের লোগো ব্যবহারের সুযোগ পান। সুস্পষ্ট নীতিমালা না থাকায় তারা সিআইপি (শিল্প) হিসেবে নির্বাচিতদের মতো অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন না। এ বিবেচনায় নতুন এ নীতিমালা প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সভায় শিল্প, সেবা ও কৃষিখাতে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এসময় পাট শিল্পে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পাটকলের আধুনিকায়ন ও পণ্য বহুমুখীকরণের চলমান উদ্যোগ এগিয়ে নিতে এনপিওর কার্যক্রম জোরদারের তাগিদ দেওয়া হয়।

এ ছাড়া তৃণমূল পর্যায়ে উৎপাদনশীলতাবিষয়ক জনসচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। এ লক্ষ্যে দেশব্যাপী এনপিওর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জোরদারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। একই সঙ্গে এনপিও থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিল্প কারখানার উৎপাদনশীলতার উন্নয়ন, মুনাফা বৃদ্ধি, শ্রমিক-কর্মচারীদের আচরণ পরিবর্তনসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে প্রশিক্ষণের প্রভাব সম্পর্কে বাস্তসম্মত গবেষণা পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়াসহ মাধ্যমিক শিক্ষা কারিকুলামে উৎপাদনশীলতা বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে বিদ্যমান কারিকুলাম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে একটি বাস্তসম্মত কনটেন্ট তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত  সচিবের (সাধারণ) এর  নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

পাশাপাশি জাতীয় উৎপাদনশীলতা পরিষদের কর্মকাণ্ড গতিশীল করার লক্ষ্যে এনপিসিতে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের (প্রশাসন) নেতৃত্বে এফবিসিসিআই, এসএমই ফাউন্ডেশন ও এনপিওর অংশগ্রহণে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভায় শিল্পসচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্, বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউসসহ শিল্প, বাণিজ্য, পাট ও বস্ত্র, তথ্য, কৃষি এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, বিদ্যুৎ ও সড়ক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নাসিবের প্রেসিডেন্ট, এফবিসিসিআই, ডিসিসিআই, এমসিসিআই, বিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতি, আইইবি, বাংলাদেশ জুট মিলস্ অ্যাসোসিয়েশন, এপিও সোসাইটি ফর বাংলাদেশ, এনপিও, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের প্রতিনিধিসহ কমিটির সংশ্লিষ্ট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ এপ্রিল ২০১৮/নাসির/এসএন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়