ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

সিভিএ’র অডিট : একটি হাতঘড়ির ওজন ৩ কেজি !

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৩০, ২৬ এপ্রিল ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সিভিএ’র অডিট : একটি হাতঘড়ির ওজন ৩ কেজি !

নিজস্ব প্রতিবেদক : চায়না থেকে আমদানিকৃত ১০০০ পিস ঘড়ির নিট ওজন ৩১১৫ কেজি। সে হিসেবে প্রতি পিস ঘড়ির ওজন পড়েছে প্রায় ৩ কেজি। আর একটি ঘড়ির দাম পড়েছে ৬০ টাকা। শুল্ক মূল্যায়ন ও অডিট (সিভিএ)-এর একটি দল একজন আমদানিকারকের নথি অডিট করে অস্বাভাবিক এমন শুল্কায়নের এমন অনিয়ম বেরিয়ে এসেছে।

বৃহস্পতিবার উত্তরার আশকোনায় মেসার্স এএসএফ সিন্ডিকেট নামের একটি প্রতিষ্ঠানে এমন শুল্ক জালিয়াতির বিষয়টি উদঘাটন করা হয়েছে।

শুল্ক মূল্যায়ন ও অডিটের (সিভিএ) কমিশনার ড. মইনুল খান রাইজিংবিডিকে এসব তথ্যল নিশ্চিত করেছেন।

অডিটে প্রাপ্ত তথ্যাতনুসারে, মেসার্স এএসএফ সিন্ডিকেট (আশকোনা, উত্তরা, ঢাকা) উত্তরা ব্যাংকের ইংলিশ রোড শাখার মাধ্যমে ‘এসোর্টেড গুডস’ হিসেবে এলসি খোলেন। আমদানিকারক ঢাকা কাস্টম হাউসে বিল অব এন্ট্রি সি ৪৮৯৪৯৭, ৩১/০৫/২০১৭ এর মাধ্যমে পণ্য চালানটি শুল্কায়নপূর্বক খালাস করেন। এই বিল অব এন্ট্রিতে ৪৪টি আইটেমে মোট ৮৮৬৯ কেজি ওজন ঘোষণা দেওয়া হয়। ঘড়ির ওজন দেখানো হয় ৩৩১৫ কেজি।

কিন্তু অডিটে বেশ কয়েকটি শুল্ক জালিয়াতি উদ্ঘাটিত হয়। তা হলো- কাস্টম হাউসের অনলাইন সিস্টেমে ১০০০ পিস ঘড়ি খালাসের শুল্কায়ন হলেও ব্যাংকের মূল দলিলে ঘড়ির বর্ণনা নেই। এতে আসলে কী পণ্য খালাস হয়েছে তা নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে।

শুল্কায়ন আইটেমে টেলিভিশনের ‘লোডেড পিসিবি’র মূল্য ধরা হয়েছে প্রতি পিস ২.৯৮ মার্কিন ডলার। অথচ কাস্টমস ডাটাবেসে এই পণ্যের প্রকৃত মূল্য আছে ১১.২৫ মার্কিন ডলার। এই মূল্য পার্থক্যজনিত কারণে রাজস্ব ফাঁকি হয়েছে।

শুল্কায়ন আইটেম নং ১৯ এ ‘টেবিল’ হিসেবে মোট ৫০০ কেজির মূল্য ধরা হয়েছে .৩২ মার্কিন ডলার প্রতি কেজি। অথচ এসআরও অনুসারে এই মূল্য নির্ধারিত আছে ২.৫০ ডলার। এখানেও মূল্যের পার্থক্যজনিত কারণে ব্যাপক রাজস্ব ফাঁকি হয়েছে।

আইটেম নং ২৫ এ ১০৭ কেজি ইমিটেশন জুয়েলারির ৫.৭৫ ডলার প্রতি কেজি মূল্যে শুল্কায়ন করা হয়। প্রকৃতপক্ষে এসআরও অনুযায়ী এর নির্ধারিত মূল্য ৮ ডলার প্রতি কেজি। পণ্য চালানটি সিনথিয়া ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল আমদানিকারকের সিএন্ডএফ এজেন্ট হিসেবে পণ্য খালাসের দায়িত্বে ছিল। আমদানিকারক পণ্যের মূল্য হিসেবে এই এলসির মাধ্যমে ২৪ হাজার মার্কিন ডলার বিদেশে প্রেরণ করেছেন। কিন্তু কাস্টম হাউসের সিস্টেমে পণ্যের মূল্য দেখানো হয়েছে মাত্র ৪ হাজার ২৪ মার্কিন ডলার।

এই বিষয়ে আরো অনুসন্ধান চলছে এবং আরো কোনো অপরাধ সংঘটিত হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান মইনুল।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ এপ্রিল ২০১৮/এম এ রহমান/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়