ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বাজারে আসছে ওয়ালটনের ৫ টনের ক্যাসেট ও ২ টনের ইনভার্টার এসি

একরাম হোসেন পলাশ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৩৯, ১৩ মে ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বাজারে আসছে ওয়ালটনের ৫ টনের ক্যাসেট ও ২ টনের ইনভার্টার এসি

নিজস্ব প্রতিবেদক : চলছে গ্রীষ্ম। প্রখর উত্তাপের আঁচ সর্বত্র। পড়ছে অসহনীয় গরম। গরমে প্রশান্তি দিতে দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটন বাজারে ছেড়েছে আয়নাইজার প্রযুক্তির পাশাপাশি ব্যাপক বিদ্যুৎসাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তির নতুন মডেলের এসি। স্বাস্থ্যকর বাতাস, তুলনামূলক কম বিদ্যুৎ খরচ ও সঠিক বিটিইউ’র (ব্রিটিশ থারমাল ইউনিট) নিশ্চয়তা থাকায় ব্যাপক গ্রাহকপ্রিয়তা পাচ্ছে ওয়ালটনের নতুন মডেলের এসব এসি।

চলতি মাসেই ২ টনের নতুন মডেলের ইনভার্টার এসি ও ৫ টনের ক্যাসেট টাইপ কমার্শিয়াল এসি বাজারে আনছে দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন। ব্যাপক গ্রাহকচাহিদার পরিপ্রেক্ষিতেই নতুন মডেলের এসব এসি উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশীয় প্রতিষ্ঠানটি।

বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাবের সঙ্গে এল-নিনোর দাপটে বাংলাদেশে চলতি বছরটি উষ্ণতম বছর হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ৫০ বছরের রেকর্ড ভাঙ্গা হাড় কাঁপানো শীতের পর এ বছর আগেভাগেই গরম চলে আসায় অসহনীয় উষ্ণতার আশঙ্কা করছেন পরিবেশবিদরা। ফলে গরমের শুরুতেই অনেকেই এসি কিনছেন। গরমে স্বস্তির সঙ্গে নিশ্চিত করছেন জীবনযাপনের সুখ।

উল্লেখ্য, ১২ হাজার বিটিইউকে (ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট) বলা হয় এক টন। আমদানি করা এসিতে সঠিক বিটিইউ থাকে না। যা সাধারণ ক্রেতার পক্ষে ধরা সম্ভব নয়। তবে ওয়ালটন দেশে তৈরি করছে বলে সঠিক বিটিইউ নিশ্চিত করছে। গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটনের নিজস্ব কারখানায় তৈরি এসি বিএবি স্বীকৃত নাসদাত ইউটিএস টেস্টিং ল্যাবে মান নিয়ন্ত্রণ করে বাজারে ছাড়া হচ্ছে।

 



ওয়ালটনের সেলস বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক ইভা রিজওয়ানা বলেন, নতুন মডেলের এসিগুলো বেশি চলছে। সবমিলিয়ে এবার ওয়ালটন এসির চাহিদা ও বিক্রি বেড়েছে। গত বছরের মার্চ ও এপ্রিল মাসের তুলনায় চলতি বছরের একই সময়ে প্রায় ২১.৩৯ শতাংশ বেশি এসি বিক্রি হয়েছে ওয়ালটনের।

সেলস বিভাগের নির্বাহী পরিচালক এমদাদুল হক সরকার বলেন, আয়নাইজার ও ইনভার্টার প্রযুক্তির স্মার্ট এসি এনে চমক সৃষ্টি করেছে ওয়ালটন। এসব এসিতে রুমের বাতাস থাকে ধূলা-ময়লা ও ব্যাকটেরিয়ামুক্ত। সাধারণ এসির তুলনায় ওয়ালটনের ইনভার্টার এসি বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত। এছাড়া, গ্রাহক বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে বসে মুঠোফোনের মাধ্যমে পরিচালনা করতে পারেন ওয়ালটনের স্মার্ট এসি। এসব সুবিধার পাশাপাশি বাজারে একমাত্র ওয়ালটন এসিতেই রয়েছে সঠিক বিটিইউ’র নিশ্চয়তা ও ছয় মাসের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি সুবিধা।

ওয়ালটন এসির চিফ অপারেটিং অফিসার প্রকৌশলী ইসহাক রনি জানান, স্থানীয় বাজারে যেকোনো ব্র্যান্ডের চেয়ে উচ্চ গুণগতমানের ও সঠিক বিটিইউ’র এসি উৎপাদন ও বাজারজাত করছে ওয়ালটন। একের পর এক বিশ্বের অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তির সংযোজন করা হচ্ছে ওয়ালটন এসিতে। এসির কন্ডেনসারে ব্যবহার করা হচ্ছে মরিচারোধক গোল্ডেন ফিন কালার প্রযুক্তি। এতে ওয়ালটন এসি হচ্ছে টেকসই।

তিনি আরো জানান, ওয়ালটনের ইনভার্টার প্রযুক্তির এসির কম্প্রেসারে রয়েছে টার্বো মুড। যা রুমের তাপমাত্রা দ্রুত কমিয়ে এনে রুমকে তাড়াতাড়ি ঠান্ডা করে। এই প্রযুক্তিতে পিসিবি বা মাদারবোর্ডে স্থাপিত মাইক্রোপ্রসেসরের বিশেষ প্রোগ্রামিং এর মাধ্যমে রুমের তাপমাত্রা অনুযায়ী কম্প্রেসারের গতি নিয়ন্ত্রিত হয়। অর্থাৎ রুমের তাপমাত্রা কমলে কম্প্রেসারের গতিও কমে আসে। ওয়ালটন এসির কম্প্রেসারে ব্যবহৃত হচ্ছে বিশ্বস্বীকৃত সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব এইচএফসি গ্যাসমুক্ত আর৪১০এ রেফ্রিজারেন্ট।

 



উল্লেখ্য, নিয়মিত গবেষণার মাধ্যমে ওয়ালটনের প্রকৌশলীরা বাজারে নিয়ে এসেছে মুঠোফোনে নিয়ন্ত্রণযোগ্য আইওটি বেজড স্মার্ট এসি। এতে এসিতে প্রতিদিন বা মাসিক বিল আসছে কত, ভোল্টেজ লো না হাই, কম্প্রেসার কি ওভারলোডে চলছে- এসব প্রশ্নের উত্তর দেবে। দেশের বাজারে ওয়ালটনই প্রথমবারের মতো স্মার্ট এসি নিয়ে এসেছে।

বাংলাদেশের আবহাওয়া উপযোগী অসংখ্য মডেলের এসি উৎপাদন ও বাজারজাত করছে ওয়ালটন। ১৮ হাজার বিটিইউ (দেড় টন) স্মার্ট এসির দাম ৬৫ হাজার টাকা। ইনভার্টার প্রযুক্তির ১৮ হাজার বিটিইউ ওয়ালটন এসি পাওয়া যাচ্ছে ৬৩ হাজার ৫০০ টাকায়। ১৮ হাজার ও ২৪ হাজার বিটিইউর আয়নাইজার প্রযুক্তির এসি পাওয়া যাচ্ছে যথাক্রমে ৪৯ হাজার ৯০০ ও ৫৬ হাজার ৯০০ টাকায়। ১৭ হাজার ২০০ বিটিইউ ওয়ালটন এসি মিলছে ৪৩ হাজার ৯০০ টাকায়। আর ১২ হাজার (এক টন) বিটিইউ ওয়ালটন এসি পাওয়া যাচ্ছে ৩৫ হাজার ৯০০ টাকায়।

ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ জানায়, সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, সঠিক বিটিইউ ও উচ্চ গুণগতমানের নিশ্চয়তা, আকর্ষণীয় ডিজাইন ও আউটলুক, সাশ্রয়ী মূল্য, ছয় মাসের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি ও দেশব্যাপী বিস্তৃত সেলস ও সার্ভিস নেটওয়ার্ক থাকায় ওয়ালটন এসি এখন গ্রাহকপ্রিয়তার শীর্ষে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে ওয়ালটনের এসি।

উল্লেখ্য, ওয়ালটন এসির কম্প্রেসারে রয়েছে সর্বোচ্চ ৮ বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি। আরো রয়েছে ৩ বছর পর্যন্ত ফ্রি বিক্রয়োত্তর সুবিধা। দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরসহ বর্তমানে ৪৩টি জেলা শহরে রয়েছে আইএসও সনদপ্রাপ্ত ওয়ালটন সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম কর্তৃক পরিচালিত সার্ভিস সেন্টার।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ মে ২০১৮/পলাশ/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়