ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ঈদবাজার : গুলশান বনানী বারিধারায় বিক্রি কম

আরিফ সাওন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:১৩, ১২ জুন ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ঈদবাজার : গুলশান বনানী বারিধারায় বিক্রি কম

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকার শপিং কমপ্লেক্সগুলোতে গত দুই বছর ধরে বিক্রি কম হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

বিক্রেতারা বলছেন, দুটি কারণে বিক্রি কম হচ্ছে। হলি আর্টিজানে হামলার ভীতি এখনো যায়নি। আর ভারতের ভিসা সহজ হওয়ায় অনেকেই ঈদের কেনাকাটা করতে ভারতে চলে যাচ্ছেন। 

পিংক সিটি শপিং কমপ্লেক্সের পঞ্চম তলায় রয়েছে টপ টেনের শোরুম। সেখানে রয়েছে সব ধরনের পণ্যের সমাহার।

টপ টেনের ম্যানেজার কামাল হোসাইন রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি ক্রেতাদের চাহিদামতো সব পণ্য দেওয়ার। এখানে আসলে ক্রেতা তার সব ধরনের পণ্য বেছে নিতে পারবেন। কসমেটিক্স, অলংকার, জুতা থেকে শুরু করে দেশি-বিদেশি সব ধরনের পণ্য এখানে রয়েছে। বিদেশি পণ্যই বেশি।’

জানা গেছে, পোশাকের পাশাপাশি ৯ হাজার টাকা থেকে শুরু করে দেড় লাখ টাকা দামের লেহাঙ্গা, ১৩০০ টাকা থেকে ৮ হাজার টাকা দামের পাঞ্জাবি এবং লাখ টাকা দামের শাড়িও পাওয়া যাচ্ছে টপ টেনের শোরুমে।

এছাড়া অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত গুলশান, বনানী ও বারিধারা আরো অনেক শোরুমেই রয়েছে দামি ব্র্যান্ডের  পোশাক। তবে বাহারি রং আর নজরকাড়া ডিজাইনের এসব  পোশাকের বিক্রি কম হচ্ছে বলে জানান বিক্রেতারা।

গত দুই বছর থেকে বিক্রি কম উল্লেখ করে কামাল হোসাইন বলেন, গুলশান এলাকায় বিক্রি কম হচ্ছে। হলি আর্টিজানে হামলার ভীতি এখনো মানুষের মন থেকে যায়নি। সেই ক্ষত পূরণ হয়নি। আর দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের মানুষ পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে গিয়ে কেনাকাটা করছে। ভারতের ভিসা সহজ হওয়ায় ক্রেতারা কেনাকাটা করতে ভারতে চলে যাচ্ছেন। তাই গুলশান, বনানীর বেশির ভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বেচাবিক্রি কম।

তারা ভারতে গিয়ে যে কম দামে পণ্য পাচ্ছেন তা কিন্ত নয়-এমন কথা জানিয়ে কামাল হোসাইন বলেন, অনেক ক্রেতা আছেন, যারা ভারত থেকে কেনাকাটা করার পর আমাদের এখানে আসেন তুলনা করতে, যে তিনি ভারতে গিয়ে জিতেছেন, না ঠকেছেন। অনেকেই বলেছেন, দাম একই রকম। অনেক ক্রেতা বলছেন, সখ করে তারা ভারতে যাচ্ছেন। ঈদের কেনাকাটার সুযোগে তাদের ঘোরাও হচ্ছে।

বিক্রেতারা জানান, এ বছর শিশুদের পোশাক আর ছেলেদের পোশাক বেশি বিক্রি হচ্ছে। সেই সাথে শাড়ি, লেহেঙ্গা থ্রি-পিচও বেশ বিক্রি হচ্ছে। থ্রি-পিচের মধ্যে পাকিস্তানি থ্রি-পিচ বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে খুব বেশি দামের পোশাকের বিক্রি একেবারেই কম।

পাঞ্জাবি কম দামের দিকেই ক্রেতাদের ঝোঁক বেশি। ১৫০০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা দামের পাঞ্জাবি বেশি বিক্রি হচ্ছে।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ জুন ২০১৮/সাওন/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়