ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

হালকা প্রকৌশল শিল্প খাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে

নাসির উদ্দিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:০৯, ২৪ জুন ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
হালকা প্রকৌশল শিল্প খাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : বিনিয়োগ বৃদ্ধি, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার, মাস্টার ট্রেইনার তৈরি এবং উদ্যোক্তাদের জন্য বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ সুবিধা বাড়িয়ে দেশের হালকা প্রকৌশল শিল্প খাতে মূল্য সংযোজনের পাশাপাশি  কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে।

বর্তমানে বিশ্ববাজারে প্রায় ৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের হালকা প্রকৌশল শিল্পপণ্যের চাহিদা রয়েছে। এ চাহিদার বিপরীতে বাংলাদেশের হালকা প্রকৌশল খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ মাত্র ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমানে এখাতে ৪০ হাজার শিল্প কারখানা গড়ে ওঠেছে, যাতে ৮ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে।

রোববার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্রের (বিটাক) টুল ইন্সটিটিউট প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত ‘উৎপাদনমুখী প্রকৌশলের মাধ্যমে টেকসই প্রবৃদ্ধি’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তরা এ কথা বলেন।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, হালকা প্রকৌশল শিল্প খাতে সনাতনী প্রযুক্তির পরিবর্তে সিএনসি (কম্পিউটারাইজ নিউমেরিক্যাল কন্ট্রোল) মেশিন প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদনের সুযোগ রয়েছে। এ সম্ভাবনা কাজে লাগালে হালকা প্রকৌশল শিল্প খাত দেশের তৈরি পোশাক শিল্প খাতকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে।

এ সময় তারা শিল্প সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য অর্জনের জন্য এ শিল্প খাতে জনবলের দক্ষতা বাড়ানোর তাগিদ দেওয়াসহ একই সাথে এ শিল্প খাতে বিদ্যমান সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সময় আবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নেরও পরামর্শ দেন।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, দেশীয় হালকা প্রকৌশল শিল্প খাতের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বর্তমান সরকার সব ধরনের সহায়তা দেবে। টেকসই শিল্পায়নের লক্ষ্যে সরকার যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে, সেগুলোতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে ব্যাপকহারে শিল্প কারখানা গড়ে উঠবে। এসব শিল্প কারখানা পরিচালনার জন্য দক্ষ ও কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন জনবলের প্রয়োজন। হালকা প্রকৌশল শিল্প খাতে বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ সুবিধা নিশ্চিত করে এ চাহিদা পূরণ করা হবে।

এ লক্ষ্যে বর্তমান সরকার  বিটাকের আওতায় টুল ইন্সটিটিউট প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বলেও জানান তিনি।

আমির হোসেন আমু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় শিল্প মন্ত্রণালয় দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শিল্প কারখানাগুলোকে সন্নিবেশিত করে শিল্পপার্ক গড়ে তুলছে। ওষুধ শিল্পের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় এপিআই শিল্পপার্ক স্থাপনের কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। পাশাপাশি লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, প্লাস্টিক, কেমিক্যাল ও মুদ্রণ শিল্পের জন্য আলাদা শিল্পনগরী স্থাপনের কাজ চলছে।

তিনি শিল্প উন্নয়নে প্রকৌশল গ্রাজুয়েটদের কার্যকর অবদান নিশ্চিত করতে পুঁথিগত বিদ্যার পাশাপাশি শিল্প কারখানায় ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করার ওপর গুরুত্ব দেন।

বিটাকের মহাপরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. এনামুল হক। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিটাক টুল ইন্সটিটিউট প্রকল্পের পরিচালক ড. সৈয়দ মো. ইহসানুল করিম। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এ কে এম নূরুল আমিন, বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক উপস্থিত ছিলেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ জুন ২০১৮/নাসির/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়