ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বৈদেশিক বাণিজ্যের সুবিধায় ‘ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো’, এমওইউ সই

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:২৩, ৭ আগস্ট ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বৈদেশিক বাণিজ্যের সুবিধায় ‘ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো’, এমওইউ সই

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : পণ্য আমদানি ও রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ, ছাড়পত্র দেওয়া ও খালাসের সব প্রক্রিয়া একই ছাদের নিচে করতে সমঝোতা স্মারক সই করেছে ৩৮টি মন্ত্রণালয় ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতনরা নিজ নিজ মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে সই করেন।

বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেক্টিভিটি প্রজেক্ট-১ এর আওতায় ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে। প্রকল্পটি বাস্তায়িত হলে পণ্য আমদানি ও রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ করা, ছাড়পত্র দেওয়া ও খালাসের প্রক্রিয়া হবে একই ছাদের নিচে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৪.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৫৮৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকা)। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে যোগান দেওয়া হবে ৫৬ কোটি ১০ লাখ টাকা। ৫২৯ কোটি ২৯ লাখ টাকা পাওয়া যাবে প্রকল্প সহায়তা হিসেবে। এর মাধ্যমে ৩ লাখ ১৯ হাজার আমদানি-রপ্তানিকারক সুবিধা পাবে। আশা করা হচ্ছে, এর মাধ্যমে আমদানিতে ১২২ ঘণ্টা ও রপ্তানিতে ৮৮ ঘণ্টা সময় অপচয় রোধ হবে।

অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের আওতায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আগামী ২০২০ সালের ৩০ জুন মেয়াদের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। পণ্য আমদানি ও রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ করা, ছাড়পত্র দেওয়া ও খালাস করতে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের একটি উচ্চ অগ্রাধিকারমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। এর মাধ্যমে একটি সেবা পয়েন্টে বৈদেশিক বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাজ অটোমেশনের মাধ্যমে নিষ্পন্ন করা সম্ভব হবে। ফলে দ্রুত আমদানি, রপ্তানি সম্পন্ন হবে এবং ডকুমেন্টভিত্তিক কাজ সহজ হবে। এর মধ্যে রয়েছে পারমিট, লাইসেন্স, সার্টিফিকেট, অনুমোদন, কাস্টমস ডকুমেন্টস ইত্যাদি। এ সিস্টেমের আওতায় ১৩টি মন্ত্রণালয়ের আওতায় ৩৮টি সরকারি-বেসকারি সংস্থা একসঙ্গে সংযুক্ত হবে। যার নেতৃত্বে থাকবে এনবিআর।

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে আটটি সুফল পাওয়া যাবে। এগুলো হচ্ছে— ইলেকট্রনিক, অনলাইন সমাধান প্রবর্তনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রক্রিয়া দ্রুততর ও আরো স্বচ্ছ হবে; পণ্য খালাসের পরিমাণ বাড়বে;  ব্যবসা পরিচালনার ব্যয় ও সময় কম লাগবে; বিধিগত প্রয়োজনীয়তা থেকে শুরু করে পণ্য খালাস পর্যন্ত সামগ্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যে সঙ্গতি ও নিশ্চয়তা পাওয়া যাবে; নিবন্ধিত বেসরকারি খাতের অংশীজন (স্টেকহোল্ডার) এবং সরকারি সংস্থাগুলোর জন্য প্রক্রিয়াগত দক্ষতা বাড়ানো ও স্বয়ংক্রিয় করার লক্ষ্যে ব্যবহারকারীবান্ধব ইলেক্ট্রনিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হবে; নিবন্ধিত বেসরকারি খাতের স্টেকহোল্ডার এবং সরকারি সংস্থাগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্কিত পারমিট, লাইসেন্স, সার্টিফিকেট ও শুল্ক পদ্ধতি নিশ্চিত করা হবে; আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রশাসন উন্নত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের জন্য তথ্যের উৎস বৃদ্ধি হবে এবং আমদানিকারক, রপ্তানিকারক ও সরকারের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ বাড়বে। 

সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বিশেষ অতিথি হিসেবে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শফিউল আলম মহিউদ্দিন ও এনবিআরের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৭ আগস্ট ২০১৮/এম এ রহমান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়