ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

রনির জোড়া খুনের মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:১৫, ১৭ অক্টোবর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রনির জোড়া খুনের মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর ইস্কাটনে জোড়া খুনের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় বখতিয়ার আলম রনির পক্ষে তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা করেছেন তার আইনজীবী।

বুধবার ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল ঈমামের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই (বর্তমানে ইন্সপেক্টর) দীপক কুমার দাসকে রনির মোবাইল কললিস্ট, মামলার সিডি ও গাড়ির লাইসেন্স সম্পর্কে জেরা করেন তার আইনজীবী কাজী নজিবুল্লাহ হিরু। জেরা শেষে বিচারক আগামী ৫ নভেম্বর আত্মপক্ষ শুনানি ও অধিকতর যুক্তিতর্কের জন্য দিন ধার্য করেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর এস এম জাহিদ হোসেন ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মো. মাকসুদ বলেন, গত ৪ অক্টোবর মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু মামলাটিতে আসামি রনির মোবাইল কললিষ্ট জব্দ করা হয়েছিল। এ সম্পর্কে তদন্তকারী কর্মকর্তা সাক্ষ্যও দিয়েছেন। তবে কললিস্টের ডকুমেন্টটি ভুলক্রমে এক্সিবিট করা হয়নি। তাই আমরা তদন্ত কর্মকর্তাকে রি-কল করে কললিষ্ট এক্সিবিটপূর্বক রায়ের দিন ধার্যের আবেদন করি। আদালত আমাদের আবেদন মঞ্জুর করে আজ তদন্ত কর্মকর্তাকে ওই বিষয়গুলোর ওপর জেরার দিন ঠিক করে দেন। এদিন আসামিপক্ষ তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা করেছেন। আগামী ৫ নভেম্বর মামলাটিতে আত্মপক্ষ শুনানি ও অধিকতর যুক্তিতর্কের জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর মামলাটির যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আদালত রায়ের দিন ঠিক করেন।

এর আগে গত ৮ মে মামলাটি ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু ওই দিন বিচারক স্বপ্রণোদিত হয়ে রায় ঘোষণার তারিখ বাতিল করে পুনরায় যুক্তি উপস্থাপনের দিন ধার্য করেন। পরে ওই আদালতের বিরুদ্ধে আসামি পক্ষের বদলি মিস মামলার পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল রাত পৌনে ২টার দিকে রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে একটি কালো রঙের প্রাডো গাড়ি থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়লে অটোরিকশাচালক ইয়াকুব আলী ও রিকশাচালক আবদুল হাকিম আহত হন। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান। এ ঘটনায় নিহত হাকিমের মা মনোয়ারা বেগম অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে রমনা থানায় ১৫ এপ্রিল একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ওই বছরের ৩০ মে এলিফ্যান্ট রোডের বাসা থেকে এই ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে বখতিয়ার আলম রনিকে আটক করে ডিবি পুলিশ। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই রয়েছেন।

মামলাটিতে ২০১৫ সালের ২১ জুলাই ডিবি পুলিশের এসআই দীপক কুমার দাস রনির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৬ সালের ৬ মার্চ মামলাটিতে এ আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে আদালত চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন। মামলাটির বিচারকালে আদালত ৩৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। ২০১৭ সালের ২৯ অক্টোবর আসামি রনি আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৭ অক্টোবর ২০১৮/মামুন খান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়